‘রাজনীতি থেকে কাদের সাহেবের অবসরের সময় হয়েছে’
‘রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেবের অবসর নেয়ার সময় চলে এসেছে। কারণ তার কথাবার্তার মধ্যে অসংলগ্নতা দেখা যাচ্ছে।’ বললেন, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন জেলখানা আরাম-আয়েশের জায়গা না। এছাড়া পরক্ষণেই তিনি বলেছেন কারাগার শান্তিতে-স্বস্তিতে থাকার জায়গা। জেলখানায় খালেদা জিয়া বিশ্রাম নেবেন। এ ধরণের পরস্পরবিরোধী কথা বলতে আওয়ামী নেতাদের জুড়ি মেলা ভার।
খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে অন্যায় সাজা দিয়ে জেলে আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, গতকাল আইনমন্ত্রীর কথাতেই প্রমাণিত হয় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মনের মাধুরী দিয়ে সাজানো মামলা, অন্যায় রায় এবং এখনও রায়ের কপি না দেয়ার কলকাঠি নাড়ছে সরকার।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রকামী মানুষের একমাত্র মুখপাত্র খালেদা জিয়া। ফেব্রুয়ারি মাসে যেভাবে মুখের ভাষা কেড়ে নেয়া হয়েছিল, সেই একইভাবে বর্তমান স্বৈরশাসক উৎপীড়িত জনগণের প্রতিবাদকে বাধা দেয়ার জন্য তাদের আশা-ভরসার প্রতীক দেশনেত্রীর কণ্ঠকে রুদ্ধ করার জন্যই তাকে আটক করে রাখা হয়েছে।
এসময় ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে রিজভী বলেন, কাদের সাহেব, আপনারা গণতান্ত্রিক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক রাজনীতি ও নির্বাচন উভয়ই দিতে ব্যর্থ। সমালোচনা গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত শক্তি। যে দেশে বিরোধী দল সরকারকে উদ্দেশ করে কিছু বললেই জেল-জুলুম সহ্য করতে হয়, সে দেশে কী তন্ত্র চালু আছে, সেটি জনগণ আপনার কাছ থেকে জানতে চায়। কেউ সমালোচনা করে ফেসবুকে কিছু লিখলেই তাকে জুজুর ভয় দেখিয়ে আটক করা হয় সেটা কী জীবিত গণতন্ত্র নাকি গণতন্ত্রের মৃতদেহ?
আরও পড়ুন:
- ‘খালেদাকে সাজা দেয়ার মাস্টারমাইন্ড এরশাদ’
- ‘দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণে উন্নয়ন সহযোগীদের সাড়া পাওয়া যায়নি’
এসএইচ/এসএস
মন্তব্য করুন