স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে পারে
স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে পারে। মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। সংবাদপত্রের দায়িত্বশীল ও পেশাদারী ভূমিকা সাধারণ জনগণকে সঠিক তথ্য দিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। বললেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
আজ (রোববার) বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ বলেন রাষ্ট্রপতি
আবদুল হামিদ বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও মতামত পরিবেশনের মাধ্যমে সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সাংবাদিকদের পবিত্র দায়িত্ব। সেই সঙ্গে পাঠকদের সত্য ও কল্যাণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তাদের দায়িত্ব।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে বহু বেসরকারি টিভি চ্যানেল, এফএম রেডিও, অনলাইন রেডিও, অনলাইন টেলিভিশন এবং কমিউনিটি রেডিওসহ মিডিয়া হাউস দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেশের গণমাধ্যমের এই বিকাশ ও তার সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে গণমাধ্যমের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, অসত্য, উস্কানিমূলক কিংবা হলুদ সাংবাদিকতা কখনই জনগণ ও গণতন্ত্রের বন্ধু হতে পারে না।
আবদুল হামিদ সুস্পষ্টভাবে বলেন, ‘আপনারা সমালোচনা করবেন। তবে তা যেন তথ্যভিত্তিক হয়। কোনভাবেই যেন একপেশে না হয়। গঠনমূলক সমালোচনা সরকার পরিচালনা ও জাতি গঠনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
রাষ্ট্রপতি সাংবাদিকদের ব্যাপারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিক। আপনাদের স্বার্থ রক্ষা করতে হলে আপনারা নিজেরাও আত্মসমালোচনা করুন। আপনারা শিক্ষিত, আপনারা লেখক, আপনারা ভালো মানুষ। আপনারাই বলুন, কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ।’
চলতি বছর সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের জন্য ৬ ক্যাটাগরিতে ৫ সাংবাদিক ও একটি সংগঠনকে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্যপ্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন:
জেএইচ
মন্তব্য করুন