শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন : প্রধানমন্ত্রী
দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে। আগামী প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানাতে কাজ করতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১৮ সালে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সমাজসেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার ২১জন গুণীব্যক্তিকে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান সরকার একটা বিজাতীয় ভাষাকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনিই প্রথম বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি বাঙালি জাতির গৌরবের। পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে। তাই তারা বার বার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের উপর আঘাত হানছে।
এ বছর পদকপ্রাপ্ত গুণীজনেরা হলেন, ভাষা আন্দোলনে আ জ ম তকীয়ূল্লাহ (মরণোত্তর) ও অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম। সঙ্গীতে শেখ সাদী খান, সুজেয় শ্যাম, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, খুরশীদ আলম ও মতিউল হক খান। নৃত্যে মীনু হক (মীনু বিল্লাহ)।
অভিনয়ে হুমায়ূন ফরীদি (মরণোত্তর), নাটকে নিখিল সেন, চারুকলায় কালিদাস কর্মকার, আলোকচিত্রে গোলাম মুস্তাফা, সাংবাদিকতায় রণেশ মৈত্র, গবেষণায় ভাষাসৈনিক অধ্যাপক জুলেখা হক (মরণোত্তর), অর্থনীতিতে ড. মইনুল ইসলাম, সমাজসেবায় ইলিয়াস কাঞ্চন। ভাষা ও সাহিত্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম খান (কবি হায়াৎ সাইফ), সুব্রত বড়ুয়া, রবিউল হুসাইন ও খালেকদাদ চৌধুরী (মরণোত্তর)।
আরও পড়ুন:
এমসি/ এমকে
মন্তব্য করুন