কারাগার থেকে পালিয়ে আসে ৪শ’ স্বাধীনতাকামী বাঙালি
১৯৭১এর একাত্তরের ৫ মার্চ। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের জনসভা নিয়ে উত্তাল ঢাকাসহ সারাদেশ। অন্যদিকে, জনসভা প্রতিহত করতে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী নানা পরিকল্পনা করতে থাকে।
পাকিস্তান কার্যত তখন চলছিলো বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বের হওয়া সব মিছিলের কেন্দ্রবিন্দু বঙ্গবন্ধুর বাড়ি।
এদিন, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে প্রায় চারশ’ স্বাধীনতাকামী বাঙালি শহীদ মিনারের সমাবেশে যোগ দেন। ফটক ভাঙার সময় পুলিশের গুলিতে ৭ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হন।
পাক গোয়েন্দারা রাওয়ালপিন্ডিতে বার্তা পাঠায়, শেখ মুজিব সশস্ত্র বিদ্রোহের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইয়াহিয়া পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষ দায়িত্ব দেন সেনা কর্মকর্তা হামিদ গুলকে।
অন্যদিকে, টঙ্গিতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের মিছিলে গুলি চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এতে নিহত হন ৪ শ্রমিক, আহত আরও ২৫ জন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটে পাশে থাকবে ভিয়েতনাম: প্রধানমন্ত্রী
--------------------------------------------------------
চট্টগ্রামে বাঙালি-অবাঙালির চলমান সংঘর্ষে পাকিস্তান সেনাবাহিনী অবাঙালিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে, নির্বিচারে গুলি চালায় বাঙালিদের উপর। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২শ’ ২২ জনে।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধিকার আন্দোলনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিকেলে কবি সাহিত্যিক ও শিক্ষকবৃন্দ মিছিল নিয়ে রাজপথে নেমে আসেন। ছাত্রলীগ ও ডাকসুর উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের হয়।
তোফায়েল আহমেদ ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দান থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সরাসরি রিলে করার জন্য ঢাকা বেতার কেন্দ্রের প্রতি আহবান জানান। রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমদ এক বিবৃতিতে বলেন, ঢাকা চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর সিলেটসহ বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে মিলিটারির বুলেটে নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষ, শ্রমিক, কৃষক ও ছাত্রদের হত্যা করা হচ্ছে।
পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জেড এ ভুট্টো রাওয়ালপিন্ডির প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আলোচনা করেন। অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল আসগর খান বিকেলে করাচি থেকে ঢাকায় পৌঁছান।
আরও পড়ুন:
জেএইচ
মন্তব্য করুন