সোনালী আঁশের দেশে কেন পাটকল বন্ধ হবে?
পাটশিল্পকে বিএনপি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এই শিল্প তো ধ্বংস করার কথা ছিল পাকিস্তানের। তাহলে কেন বিএনপি এটা করলো। কারণ তাদের দিলে পেয়ারে পাকিস্তান। তারা পাকিস্তানের পদলেহন করে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় পাট দিবস’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের পাটকলগুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেয়। বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তারা এ শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ৯৬ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় এলাম বন্ধ পাটকলগুলো খুলে দিতে শুরু করলাম। এরপর ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দিলো। যেখানে ২৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিলেন।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, পাট উৎপাদনকারী দেশে কেন পাটকল বন্ধ করা হবে? ওই বিএনপি এটা করেছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন সৌদিতে নির্যাতিত ২৩ নারী গৃহকর্মী
--------------------------------------------------------
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই সব বন্ধ কলকারখানা খুলে দিয়ে তা জাতীয়করণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটাকে যখনই জাতির পিতা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই তাকে হত্যা করা হয়।
অন্যান্য শিল্পের মতো পাটশিল্পও প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার পরিহিত শাড়ি, ব্যবহৃত জুতা ও সঙ্গে থাকা ব্যাগটি পাটের বলে জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, পাট এমন একটি জিনিস। যা পরিবেশবান্ধব। এর চাহিদা শেষ হবে না। আমরা এর ওপর গবেষণার সুযোগ করে দিলাম। পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনের দ্বার খুলে দিলাম। এই আবিষ্কারের পর পাটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো।
তিনি বলেন, আমাদের রপ্তানি বহুমুখী করতে হবে। পাট আধুনিকীকরণ করতে হবে। এর ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। বেসরকারি খাতকে আমরা সুবিধা দিচ্ছি। আমরা বন্ধ পাটকল খুলে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাটের বাজার এখন খুলে গেছে। যত উ্ন্নত পাট তৈরি করতে পারবো, তত রপ্তানি বাড়বে। আমরা ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ করে দিয়েছি। এর ফলে পাটের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ খাতে সব সমস্যা মোকাবেলা করা হবে।
আরও পড়ুন:
এসআর/পি
মন্তব্য করুন