শনাক্তের ৩ দিন পর মরদেহ হস্তান্তর : বিমানমন্ত্রী
নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ শনাক্তের তিন দিন পর হস্তান্তর করা হবে। বললেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল।
বুধবার বিকালে নেপালে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, তদন্ত শেষ করতে সময় লাগবে এক সপ্তাহ। এ সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, এখনো ময়নাতদন্ত চলছে। আমি নিজে ময়নাতদন্তের রুমে গেয়েছি। তিন দিন পরে তারা মরদেহ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে। যে মরদেহের ময়নাতদন্তের কাজ আগে শেষ হবে, তা আগে হস্তান্তর করা হবে। যার চেহারা বুঝা যাবে তা আগে হস্তান্তর করা হবে। যারা নিহত হয়েছেন তাদের ছবিসহ কাগজ সাবমিট করার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে মরদেহ নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আইনি জটিলতা আগে যা ছিল তা নিয়ে আজ (বুধবার) আলোচনা হয়েছে। এখন আইনি জটিলতা সহজ হয়েছে।
১২ই মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন ৫১ জন। ইউএস বাংলার বম্বারডিয়ার ড্যাশ কিউ ৪০০ বিমানটিতে মোট ৭১জন আরোহী ছিলেন। ওই ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। আহত হন আরও ২০ জন।
পরে হতাহতের উদ্ধার করে স্থানীয় কেএমসি হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল ও ওম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: লাশ দেখার সুযোগও পাচ্ছেন না স্বজনরা
--------------------------------------------------------
বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের খোঁজ ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সোমবার নেপাল গেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল। তিনি নেপাল সিভিল এভিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর এবং আহতদের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া ঘটনার পর নিহতদের স্বজন ও এভিয়েশনের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা নেপালে রয়েছেন।
এদিকে কাঠমান্ডুতে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের স্মরণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে শোক পালন করা হবে। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া শুক্রবার সারা দেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার ঘোষণা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:
এমসি/জেএইচ
মন্তব্য করুন