বাবা-মা হত্যা: ঐশীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের একমাত্র কন্যা ঐশী রহমানকে হাইকোর্টের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিলে ঐশীর মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে।
সোমবার আপিল দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট সুফিয়া খাতুন।
গত বছরের ৫ জুন ঐশী রহমানকে বিচারিক আদালত থেকে দেয়া মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর নিহতদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদের আদালত। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশও দেয়া হয়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : খালেদার জামিনের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ
--------------------------------------------------------
মামলার অন্য আসামি ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে খুনের ঘটনার পর ঐশীদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও একমাস কারাদণ্ড ভোগ করার কথা বলা হয়। অপর আসামি ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি খালাস পান।
দুটি খুনের জন্য আলাদা দুটি অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। দুটি অপরাধের জন্য আলাদা আলাদা করে ঐশীকে দু’বার ফাঁসি ও দু’বারে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ফৌজদারি আইন অনুযায়ী বিচারিক আদালত ঘোষিত ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হলে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমতি নিতে হয়।
বিচারিক আদালতের দেয়া ঐশীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের নথিসহ ডেথ রেফারেন্স ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে এসে পৌঁছে।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। গেলো বছরের ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশীসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আলাদা দুটি চার্জশিট দাখিল করেন। অপর আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার মামলাটির বিচার শিশু আদালতে হয়।
আরও পড়ুন :
এমসি/পি
মন্তব্য করুন