রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের পরিবেশ দূষিত করছে: ইউএনডিপি
কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন জায়গায় এখন বসবাস করছে দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তারা বাতাস, শব্দ, পানি ও জীব বৈচিত্র্য বিঘ্নিত ও দূষিত করছে। এসব তথ্য দিয়ে একটি যৌথ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) এবং ইউএন ওমেন।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, ব্যবস্থাপনা ও রান্নার জ্বালানির জন্য ৪ হাজার ৩০০ একর বন ও পাহাড় কাটা পড়েছে। ফলে সেখানকার জীববৈচিত্র্য, প্রতিবেশ ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, রোহিঙ্গারা প্রতি মাসে ৬ হাজার ৮০০ টন জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করছে। প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য অস্থায়ী একটি আশ্রয় ঘর নির্মাণের জন্য গড়ে ৬০টি বাঁশের প্রয়োজন হয়েছে।
এছাড়াও রোহিঙ্গারা টেকনাফ, উখিয়া, হিমছড়ির প্রায় ১২০০ থেকে ১৬০০ হেক্টর পাহাড়ি জমির গাছপালা সাফ করেছে, যা জীব বৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান অবস্থার কারণে কক্সবাজারে পানির অভাব, শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই অবস্থা থাকবে।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে এদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। তবে তাদের আশ্রয়ের জন্য পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। এই ক্ষতি সহজেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। সেখানকার পানির স্তরও নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। তবে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুব শিগগিরই হবে বলে মনে হয় না। এই সংকট সমাধানে সময় লাগবে। সে কারণে সরকার রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন :
- সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক ও ইউএনওসহ ৩ জনের কারাদণ্ড
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারকাজ শেষ, রায় ১০ অক্টোবর
এমকে
মন্তব্য করুন