ভেজাল ফেয়ারনেস ক্রিমে বাজার সয়লাব
ফেয়ারনেস ক্রিমের নামে বাজার সয়লাব হচ্ছে, ভেজাল প্রসাধনীতে। কখনও কখনও নামিদামী ব্র্যান্ডের মোড়ক নকল করে বিক্রি করা হচ্ছে এসব প্রসাধনী। এসব ক্রিম ত্বককে ফর্সা তো করে-ই না, বরং দীর্ঘদিন ব্যবহারে ত্বকে এলার্জি হতে পারে, হতে মরণঘাতী ক্যানসারও- এমনটি বলছেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাই, যাচাই-বাছাই করে প্রসাধনী ব্যবহারের পরামর্শ তাদের।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, দেশে নামে-বেনামে বিক্রি হচ্ছে, রং ফর্সা করার নানা ক্রিম। বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্ত হয়ে, ত্বক ফর্সা করতে ক্রেতারাও ঝুঁকছেন, এসব পণ্যের দিকে।
ব্যবহারে সমস্যায়ও পরছেন, ক্রেতারা। ত্বকে র্যাশসহ নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নাদিয়া শারমিন বলেন, চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন এইসব ফেয়ারনেস ক্রিম কিনতে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে। কিন্তু এইসব ক্রিমে সাময়কিভাবে রং ফর্সা করলেও ক্ষতি হয় বেশি। সবসময় এই ক্রিম ব্যবহার করতে হয়। নইলে কিছুদিন পর রং আগের থেকে বেশি কালো হয়ে যায়। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এই ক্রিম ব্যবহার করলে মুখের চামড়া পাতলা হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ফেয়ারনেস ক্রিমে ন্যানো কার্বন থাকে, যা আলো ও বাতাসের মিশলে সক্রিয় অক্সিজেন তৈরি করে। এই রাসায়নিক উপাদান ত্বকের কোষ মেরে ফেলে, যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ শিকদার বলেন, এইসব রং ফর্সা করা ক্রিম, রং ফর্সা তো করেই না বরং এলার্জিসহ নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি করে। ছোট ছোট দানা হয়ে ত্বকে লাল দাগ তৈরি হয়ে যায়। র্যাশ তৈরি করে। স্থায়ীভাবে কালো দাগ তৈরি হয়। এছাড়া বিভিন্ন পার্লারে হারবাল প্রেডাক্ট দিয়ে রং ফর্সা করা ক্রিম তৈরি করে। এগুলো যেন অবশ্যই বিজ্ঞানসম্মত হয়।
মাত্রারিক্ত রাসায়নিক ছাড়া কোনোভাইে ত্বকের রং পরিবর্তন সম্ভব নয়, এমনটি জানিয়ে এই চিকিৎসক, যেকোনো প্রসাধনে রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহারকে বিজ্ঞানসম্মত করার পরামর্শ দিলেন।
আরও পড়ুন :
আরসি/ জেএইচ
মন্তব্য করুন