মিয়ানমারের মানচিত্রে সেন্টমার্টিন থাকায় রাষ্ট্রদূতকে তলব
মিয়ানমারের মানচিত্রে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সেন্টমার্টিনকে দেখানোর ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার দুপুরে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লুইন উকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে মিয়ানমারকে একটি কূটনৈতিক চিঠি দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. খুরশেদ আলমের
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারে সম্প্রতি তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে সেন্টমার্টিনের দ্বীপপুঞ্জকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ দেখানো হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর তার হাতে কূটনৈতিক প্রতিবাদপত্র ধরিয়ে দেন খুরশেদ আলম।
খুরশেদ আলমকে উদ্ধৃত করে সংশ্লিষ্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, খুরশিদ আলম মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বলেন ‘১৯৪৭ সালে দেশভাগ তথা স্বাধীন ভারত ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সময়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ স্বাভাবিকভাবেই তৎকালিন পাকিস্তানের অংশে পরিণত হয়। এবং পরে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের সময় দ্বীপটি অবসম্ভাবীভাবে আমাদের দেশের অংশে পরিণত হয়।’
কর্মকর্তা জানান, খুরশেদ আলম মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে স্মরণ করিয়ে দেন ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে বাংলাদেশের বিজয় ‘পুনরায় নিশ্চিত করেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপটি আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’
আরও পড়ুন :
এসএস
মন্তব্য করুন