রাজধানীতে তৃতীয় ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ
`শত চেষ্টা করেও সড়কের শৃঙ্খলায় দৃশ্যমান উন্নতি আনতে পারছি না'
রাজধানীতে চলছে তৃতীয় বারের মতো ৭ দিনের (২৪ অক্টোবর ২০১৮ হতে ৩১ অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত ) বিশেষ ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ। সড়কের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে দৃশ্যমান উন্নয়নের জন্য রাজধানী জুড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চলমান বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহের ঘোষণা দেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া।
কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূর্বেও যেকোনো সময়ের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অজ্ঞান ও মলম পার্টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা যেমন শক্ত অবস্থানে আছি, তেমনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি।
আছাদুজ্জামান বলেন, বলতে দ্বিধা নেই একটি জায়গায় আমরা শত চেষ্টা করেও দৃশ্যমান উন্নতি আনতে পারছি না। সেটা হলো যানজট নিয়ন্ত্রণ ও সড়কের শৃঙ্খলা।
এ বছর ঈদ উল আযহার আগে প্রথমে ৫-১৪ আগস্ট ১০ দিনের ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করা হয়। ঈদ উল আযহার পরে দ্বিতীয় বারের মতো ৫-৩ সেপ্টেম্বর মাস ব্যাপী ট্রাফিক সচেতনতা কর্মসূচি পালন করা হয়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই ট্রাফিক কর্মসূচি পালনে ট্রাফিক ব্যবস্থার কিছু উন্নয়ন হয়েছে তবে জনগণের যে প্রত্যাশা আমরা তা পূর্ণ মাত্রায় অর্জন করতে পারিনি। বহুবিদ সমস্যা ও সীমাবদ্ধতার জন্য তা সম্ভব হয়নি। সবকিছু বিবেচনায় এনে তৃতীয় বারের মত ৭ দিনের বিশেষ ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ পালন করছি।
তিনি জানান, প্রথম ১০ দিন ব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের দায়ে প্রায় ৬ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মাস ব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের দায়ে ১৪ কোটি টাকার বেশি জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি ট্রাফিক গাইড বই তৈরি করে প্রায় ১ লাখ নগরবাসীকে দেয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, নগরীর ১৩০ টি পয়েন্টে বাস স্টপেজ লেখা সাইন বোর্ড স্থাপন করেছি। অনেক স্থানে রোড মার্কিং ও জেব্রা ক্রসিং দেয়া হয়েছে।
কমিশনার বলেন, এবারের ট্রাফিক সপ্তাহের আমাদের মূল যে কাজ তার মধ্যে পথচারীরা রাস্তা পারাপারে অবশ্যই ফুটপাথ-ফুটওভার ব্রিজ- আন্ডারপাচ- জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করবেন। সচেতনতার পাশাপাশি আমরা আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করব।
আরও পড়ুন :
জেএইচ
মন্তব্য করুন