এখনো গ্রেপ্তার হয়নি স্ত্রী হত্যাকারী যুবদল নেতা
গেলো বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামে স্ত্রী লুবনা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেছেন হেলাল মিয়া নামে এক যুবদল নেতা। এ হত্যাকাণ্ডের চার দিন পার হলেও পুলিশ এখনো হেলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, আসামি আত্মগোপন করে আছে। আমাদের বেশ কয়েকটি টিম অভিযান চালাচ্ছে। আমি নিজেই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছি। দুই একদিনের মধ্যে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবো।
জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামস্থ চাচাতো ভাইয়ের বাড়ির গোয়াল ঘরে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্ত্রী লুবনা বেগমের গলা কাটার পর ছুরি হাতে নিয়ে পালিয়ে যান ঘাতক স্বামী ও
উপজেলার সদর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক হেলাল মিয়া। এরপর আত্মীয়-স্বজনরা আহত অবস্থায় লুবনাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লুবনার পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন হেলাল মিয়া। বৃহস্পতিবার হেলাল মিয়া দুপুরে নিজের পৈত্রিক বাড়িতে আসেন। এরপর চাচাতো ভাইয়ের ঘরে বসে স্ত্রীকে ফোন করে আসতে বলেন। স্বামীর ফোন পেয়ে মা-ভাইকে সঙ্গে নিয়ে হেলালের চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে আসেন লুবনা বেগম। এ সময় লুবনার ভাই রাসেলের সঙ্গে নিজের ছেলে আল-আমিনকে সিগারেট আনার জন্য বাজারে পাঠান হেলাল। এরপর স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে চাচাতো ভাইয়ের গরুর ঘরে যান হেলাল। সেখানে হাত বেঁধে লুবনার গলা কেটে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান হেলাল। পরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লুবনার ভাই বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা করেন।
এসএস
মন্তব্য করুন