১১ বছরেও পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হয়নি ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতাল
ঝিনাইদহ শহরের বাস টার্মিনালের পাশে ছয় কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে শিশু হাসপাতালটি উদ্বোধন হয় ২০০৬ সালে। প্রশাসনিক অনুমোদন ও জনবল নিয়োগ না হওয়ায় হাসপাতালটি বন্ধ ছিল ২০১০ সাল পর্যন্ত।
পরে তিনজন মেডিকেল সহকারী ও দুইজন কর্মচারী প্রেষণে নিয়োগ দিয়ে হাসপাতালটি চালু করা হয়। তবে ওষুধ বরাদ্দ ও কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন হতাশ হয়ে।
হাসপাতালে আসা এক রোগীর স্বজন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘হসপিটালে আইছি কিন্তু সেইভাবে চিকিৎসার এখানে কিছুই নাই।’
লোকবল নিয়োগের মাধ্যমে হাসপাতালটি দ্রুত পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেলো স্বামী
--------------------------------------------------------
স্থানীয় এক যুবক বলেন, ‘এ এলাকায় অনেক দরিদ্র ফ্যামেলি আছে। হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে অনেকেই উপকৃত হত।’
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘হাসপাতালে ছয় থেকে সাতটি আবাসিক বিল্ডিং আছে। এগুলো সব ভেঙ্গে যাচ্ছে। খুব দ্রুত কর্তৃপক্ষের বিষয়টির প্রতি নজর দেয়া উচিত।’
তবে দ্রুত নিয়োগ দিয়ে হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা হবে বলে জানালেন সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা।
তিনি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমরা স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় এটি চালু রেখেছি। কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদায়ন হয়েছে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কোড না আসার কারণে তাদের বেতনের ব্যবস্থা হয়নি। ফলে আমরা হাসপাতালটি পুরোপুরি চালু করতে পারছি না।
আরও পড়ুন:
জেবি/পি
মন্তব্য করুন