'আমি আত্মহত্যা করিনি, আমায় হত্যা করা হয়েছে'
বগুড়ায় স্কুলের পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক স্কুলছাত্র।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের নিশিন্দারা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুলছাত্রের নাম রাব্বী তাসিন (১৫)। সে ওই স্কুলের নবম শ্রেণির বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র ছিল এবং শহরের নিউমার্কেটের প্রসাধন ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেন প্রামাণিক জুয়েলের ছেলে।
তাসিনের স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক আরটিভি অনলাইনকে জানান, তাসিন প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও স্কুলে এসেছিল। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি চলার কারণে দুপুর দুইটার দিকে স্কুল ছুটি হয়ে যায়। এরপর সবার অগোচরে কোনো একসময় তাসিন স্কুলের পশ্চিম পাশের নতুন পাঁচতলা ভবনের ছাদে ওঠে। বেলা আড়াইটার দিকে সে পাঁচতলা ভবন থেকে লাফ দেয়। শব্দ শুনে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. নির্মলেন্দু গুণ আরটিভি অনলাইনকে জানান, তাসিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেয়া হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
তাসিনের চাচা হেলাল প্রামাণিক আরটিভি অনলাইনকে জানান, তাসিনের সঙ্গে দশম শ্রেণির এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। শুনেছি ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডেতে সেই মেয়ে তাসিনকে প্রত্যাখান করে। এরপর সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। এ কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে।
এদিকে তাসিন স্কুলে যাওয়ার আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে ইংরেজিতে লিখেছে, 'থ্যাংকস টু আল্লাহ, ফর গিভিং মি অ্যা লাইফ অব ফুল পেইন... বাই, এভরিওয়ান’। আর প্রোফাইল পিকচারের স্থানে লেখা, 'আমি আত্মহত্যা করিনি, আমায় হত্যা করা হয়েছে।'
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি পারিবারিক অশান্তির কারণে ছেলেটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। অন্য কারণও থাকতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জেবি/জেএইচ
মন্তব্য করুন