শিক্ষার্থীদের গরু বলা সেই সহকারী রেজিস্ট্রার বহিষ্কার
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গরু বলে আলোচিত হওয়া ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার খন্দকার এহসান হাবীবকে স্থায়ীভাবে বকিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর আরটিভি অনলাইনকে বলেন, খন্দকার এহসান হাবীবের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শিক্ষার্থীদের কটূক্তি করার অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। শনিবার উপাচার্য প্রফেসর ড.এ.এইচ.এম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে এ বিষয়ে কোনও চিঠি পাননি জানিয়ে বহিষ্কৃত এহসান হাবীব বলেন, আমাকে আত্মপক্ষ আলোচনার সুযোগ না দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অন্তত তাই নির্দেশ করে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে জানুয়ারির শেষে সাবেক উপাচার্য মোহীত উল আলমের ছেলের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই সময় কে কতোটা উপাচার্যের কাছের লোক তা প্রমাণে সক্রিয় ছিলো একটি গোষ্ঠী। আর তা প্রমাণ করতে ভিসিপুত্রের নিয়োগ দেয়ার পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা।
সাবেক ভিসির ছেলে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করেন। শিক্ষক হিসেবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পাচ্ছেন ভিসিপুত্র এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তখন সহকারী রেজিস্ট্রার খন্দকার এহসান হাবীব সাবেক ভিসির পক্ষ নিয়ে ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন যেখানে ‘পাবলিকের গরু’ বলা হয় শিক্ষার্থীদের।
এই বক্তব্যের পর আন্দোলন মোড় নেয় ‘প্রাইভেট থেকে শিক্ষক নয়’ দাবির পাশে যোগ হয় ‘এহসান হাবীব এর পদত্যাগ’ দাবিতে। খন্দকার এহসান হাবীবের বক্তব্যকে কটূক্তি বলে আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মামলা দায়ের করেন একাধিক শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে খন্দকার এহসান হাবীবকে আন্দোলনের মুখে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ছিলো।
আরও পড়ুন:
এসএইচ/জেএইচ
মন্তব্য করুন