হারানো বাবা-মাকে খুঁজছে সুরাইয়া
শরীয়তপুরের পালং মডেল থানা পুলিশের আশ্রয়ে থাকা ১৮ বছরের কিশোরী সুরাইয়া ফিরে পেতে চায় তার মা-বাবাকে। একযুগ আগে ঢাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া কিশোরীটি তার মা-বাবার নাম বলতে পারলেও বিস্তারিত ঠিকানা জানাতে পারছে না। তার বাড়ি শরীয়তপুরে এটা তার মনে আছে।
পালং মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়া আক্তার সুরাইয়া নামে একটি মেয়ে মাত্র ৬ বছর বয়সে ২০০৬ সালে ঢাকার মিরপুর-১ নম্বর এলাকা থেকে হারিয়ে যায়। পথ হারিয়ে ওই সময় সে সদরঘাটে এসে লঞ্চে চড়ে বরিশালের মুলাদি চলে যায়। মুলাদি লঞ্চঘাটে নেমে সুরাইয়া কান্নাকাটি করার সময় হারুন খান নামে এক ব্যক্তি তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়্। পরবর্তীতে হারুন খান মুলাদি থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পুলিশের পরামর্শে মুলাদিস্থ দেলোয়ার হোসেন বাদশা হাজারীর বাসায় রেখে আসেন। বাদশা হাজারী সুরাইয়াকে কাজের লোক হিসেবে দীর্ঘ একযুগ নিজ জিম্মায় রাখেন।
সুরাইয়া বাদশা হাজারীর বাড়িতে থাকাবস্থায় বিভিন্ন সময়ে মা-বাবার কাছে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করতো। কিন্তু হাজারী পরিবার কিছুতেই সুরাইয়াকে ছাড়েনি। দীর্ঘ একযুগের বন্দী জীবনের পর সুরাইয়া গত ২২ ফেব্রুয়ারি মুলাদি থেকে পালিয়ে শরীয়তপুর শহরে চলে আসে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পালং মডেল থানায় হাজির হয়ে পুলিশকে বিস্তারিত ঘটনা জানায়। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
সুরাইয়া আক্তার জানায়, তার বাবার নাম সোলেমান মিয়া, মায়ের নাম জুলেখা বেগম, বাড়ি শরীয়তপুরে। আর কিছু মনে নেই তার।
পালং মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, সুরাইয়া শুক্রবার পালং মডেল থানায় এসে আমাদের কাছে বিস্তারিত খুলে বলে। তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না থাকায় অভিভাবকের কাছে দিতে পারছি না। রোববার তাকে আদালতে হাজির করে বিচারকের নির্দেশনা মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন:
এসএইচ/পি
মন্তব্য করুন