মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেই বিমানে ওঠে পিয়াস
নেপালের কাঠমান্ডুতে দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রী ছিলেন বরিশালের সন্তান পিয়াস রায়। তার বাড়ি বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের মধুকাঠি গ্রামে।
পিয়াসের বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায় নলছিটি উপজেলার চন্দ্রকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মা পূর্ণিমা রায় বরিশাল নগরীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বর্তমানে তারা নগরীর বগুড়া রোড এলাকার বসবাস করে।
পিয়াস গোপালগঞ্জের সাহেরাখাতুন মেডিকেল কলেজ থেকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এ বছরের পাঁচ মার্চ তার পরীক্ষা শেষ হয়।
পিয়াস রায়ের বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায় জানায়, নেপালে পিয়াসের বন্ধুরা রয়েছে। এর আগেও দেশের বাইরে ঘুরতে গেছে পিয়াস। সোমবার প্লেনে ওঠার আগে সর্বশেষ সোয়া এগারোটার দিকে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। সেসময় পিয়াস বলেন, মা আমি প্লেনের সিঁড়িতে ওঠেছি। প্লেনের ভেতরে ফোন বন্ধ থাকবে। তাই আগেই জানিয়ে দিলাম। ফেসবুকে ছবি আগেই ছেড়ে দিয়েছি। এরপর থেকে পিয়াসের সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই।
একমাত্র ছেলের সন্তানের এমন দুর্ঘটনায় দিশেহারা পিয়াসের বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায় জানান, দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছেন পিয়াস ইউএস বাংলার ওই প্লেনের যাত্রী ছিলো।
পিয়াসের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পিয়াস এসএসসি পরীক্ষার পর থেকে অবসর সময়ে নানান জায়গায় ঘুরতে যেতেন। কয়েকদিন আগে তার মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। যার ফলাফল শিগগিরই দেয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে সন্তান হারিয়ে পরিবারে এখন শোকের মাতম। দুই ভাই বোনের মধ্যে পিয়াস রায় ছিল বড়। পিয়াসের বোন শুভ্রা রায় রাজধানীর নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন:
এসএস
মন্তব্য করুন