নাসিরনগরে নৌকা সুন্দরগঞ্জে লাঙ্গল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামিম হায়দার পাটোয়ারী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জয় লাভ করেছেন।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার শফিকুর রহমান জানিয়েছেন নাসিরনগরে ৭৪টি কেন্দ্রের সবকটির ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম পেয়েছেন ৮২ হাজার ২৯৬ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজুয়ান আহমেদ পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৮৪ ভোট। অপর প্রার্থী ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী আশরাফুল হক পেয়েছেন ২২৮৭ ভোট। মোট দুই লাখ ১৪ হাজার ভোটারের মধ্যে মোট ভোট পড়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ২২৯ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা প্রয়াত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এই আসনে তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-১ নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ৮ জন পুলিশসহ ২২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১০ জন পুলিশসহ ২৪ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
মোবাইল টিমে ২৭৩ জন ও স্ট্রাইকিং ফোর্সে ১৩০ জন পুলিশ, স্ট্রাইকিং ফোর্সে ১শ’ জন এপিবিএন, প্রতি কেন্দ্রে ১৪ জন করে ১ হাজার ৩৬ জন আনসার সদস্য, মোবাইল টিমে ৪০ জন এবং স্ট্রাইকিং ফোর্সে ১০ জন ব্যাটালিয়ান আনসার এবং ৭ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ২৬টি মোবাইল টিম মোতায়েন হয়।
বিএম ফরহাদ হোসেন
এদিকে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে ১০৯টি কেন্দ্রের সবকটির ফলাফলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৯২৬ ভোট।
ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারী
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আফরুজা বারী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯১৩ ভোট। এছাড়া গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম (মাছ) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৭৬ ভোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) জিয়া জামান খান আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৯৯ ভোট।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ-দলীয় সাংসদ গোলাম মোস্তফা আহমেদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এ আসনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গাইবান্ধা-১ নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ৮ জন পুলিশসহ ২২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১০ জন পুলিশসহ ২৪ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
মোবাইল টিমে ৩০১ জন ও স্ট্রাইকিং ফোর্সে ১৬০ জন পুলিশ, মোবাইল টিমে ১৫০ জন এবং স্ট্রাইকিং ফোর্সে ১৫০ জন এপিবিএন, প্রতি কেন্দ্রে ১৪ জন করে ১ হাজার ৫২৬ জন আনসার সদস্য, মোবাইল টিমে ১৭২ জন এবং স্ট্রাইকিং ফোর্সে ১৫০ জন ব্যাটালিয়ান আনসার এবং ৮ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ১৮টি মোবাইল টিম মোতায়েন করা হয়।
আরও পড়ুন:
জেবি/জেএইচ
মন্তব্য করুন