• ঢাকা শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১
logo

চৌদ্দ লাখ টাকার মাছ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দিল বনবিভাগ!

মোংলা প্রতিনিধি

  ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:০২

বঙ্গোপসাগর থেকে সামুদ্রিক মাছ নিয়ে ফিরে আসার সময় একটি ফিশিং ভ্যাসেল (মাছ ধরার জাহাজ) আটক করে বনবিভাগ। পরে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ১৪ লাখ টাকার মাছসহ ‘এফ ভি মেটাডোর’ নামে দুই কোটি টাকার সেই জাহাজ ছেড়ে দেয়া হয়।

তবে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম দাবি করেন, বনবিভাগ অনুমোদিত জরিমানা নিয়ে সবকিছু ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সুন্দরবনের পশুর নদীতে জয়মনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশনের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) শাহীন কবির জানান, বঙ্গোপসাগর থেকে ফিরে আসার সময় বৃহস্পতিবার ভোরে পশুর নদীর জয়মনিতে অভিযান চালিয়ে বনরক্ষীরা একটি ফিশিং ভ্যাসেল (মাছ ধরার জাহাজ) আটক করে। ওই বোটে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ছিল।

তিনি বলেন, সাগরে মাছ ধরার অনুমতি থাকলেও রিজার্ভ ফরেস্ট (সুন্দরবন) এর ভেতরে চলাচলের জন্য বনবিভাগের অনুমতি ছিল না। এ কারণেই ওই ফিশিং ভ্যাসেল আটক করা হয়েছে। পরে কাগজপত্র (সার্ভে কাগজ, মেরিন ফিশারিজের অনুমতি পত্র) যাচাইয়ের পর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে ১৫ জন নাবিকসহ ছেড়ে দেয়া হয়।

চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, জরিমানা দেড় লাখ টাকা আদায়ের সিদ্ধান্ত থাকলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদবিরে মাত্র ৫০ হাজার টাকায় ছেড়ে দিতে হয়েছে। এটা নিয়ে আপনারা আবার লেখালেখি কইরেন না।

------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : পদ্মার পাড়ে চলছে আহাজারি, উপজেলার একমাত্র হাসপাতাল বিলীনের পথে
------------------------------------------------------------------

এদিকে এফ ভি মেটাডোর ফিশিং ভ্যাসেল (মাছ ধরা জাহাজ) এর মাস্টার মো. এনায়েত হোসেন খান বলেন, আমরা প্রায় ২০ বছর ধরে সমুদ্র থেকে মাছ ধরে সুন্দরবনের পাশ দিয়ে পশুর নদী হয়ে খুলনায় চলাচল করছি। কিন্তু কখনো বনবিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সমুদ্র মাছ ধরার জন্য মেরিন ফিশারিজের অনুমতি এবং মাছ ধরার জাহাজের সার্ভে (সমুদ্রে চলাচলের রুট পারমিশন) আনুসাঙ্গিক সব কাগজ রয়েছে। হঠাৎ আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে অস্ত্রের ভয় দিয়ে জাহাজসহ আমাদের পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছে। পরে জোর করে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই জাহাজে সাত হাজার কেজির বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ছিল বলে জানান তিনি।

অস্ত্র দেখিয়ে আটকের বিষয়টি স্বীকার করেন চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের (মাছ ধরার জাহাজে থাকা নাবিকদের) সিগন্যাল দিয়ে গতিরোধের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অস্ত্র তাক করেছিলাম।

সুন্দরবন সহ-ব্যবস্থাপনা সংগঠনের (সিএমসি) সহ-সভাপতি শুকুরুজ্জামান হাওলাদার জানান, বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কথা বলে আর লাভ কি? এখানে (চাঁদপাই স্টেশন) কিছু অসাধু কর্মকর্তা রয়েছেন যারা দুর্নীতি ছাড়া কিছুই বোঝেন না। তিনি বলেন, আজকের ঘটনাই দেখেন কিভাবে মানুষকে হয়রানি করে তারা টাকা আদায় করেন।

আরও পড়ুন :

জেবি

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে মাছ ধরার যন্ত্র ও পাখিসহ আটক ৩
পদ্মায় ধরা পড়ল ১১ কেজির বোয়াল, যত টাকায় বিক্রি
পিকআপসহ ২০ মণ শাপলাপাতা মাছ জব্দ, বিএনপি নেতাসহ আটক ৯
মাছ ধরতে নদীতে নেমে প্রাণ গেলো শিশুর