পদ্মা ভাঙন: মাথা গোঁজার ঠাঁই দিতে ব্যর্থ প্রশাসন
ঘরহারা মানুষের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে পদ্মার পাড়। শরীয়তপুরের নড়িয়ায় তিন মাসের ভাঙনে আশ্রয়হীন পরিবারের ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে কিংবা মসজিদ আর স্কুলে। অন্যত্র বসতি গড়বেন এমন অর্থ নেই এদের বেশিরভাগের কাছেই। হতভাগ্য এসব মানুষ বলছেন, মাথা গোঁজার ঠাঁই দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন।
গেল ৩ মাসে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর, কেদারপুর ও নড়িয়া পৌর এলাকায় পদ্মার ভাঙনে আশ্রয়হীন হয়েছে কমপক্ষে ৬ হাজার পরিবার। সব হারানো এসব মানুষের ঠাঁই হয়েছে, পূর্ব নড়িয়া ইলিয়াছ চৌকিদারের বাড়ির বাগান, উত্তর কেদারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের জমি, সুমন শরীফের মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে। অনেকেই এখনো আছেন খোলা আকাশের নিচে।
নিম্ন আয়ের এসব মানুষের অভিযোগ, সামান্য খাদ্য সহায়তা পেলেও এখন পর্যন্ত পুনর্বাসনের বিষয়ে কোন সহায়তা দেয়নি প্রশাসন।
অন্য সব দুর্যোগের মতোই এখানেও স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শিশু খাদ্যের সংকট প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। শিশুদের কিভাবে রক্ষা করবেন তা জানেন না কেউই।
নদী ভেঙে গিয়ে আশ্রয়হীন হয়েছে হাজার হাজার মানুষ আর প্রশাসন এখনো সন্তুষ্ট সহায়তার প্রস্তাব উপরে পাঠিয়েই।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, চাহিদার কথা জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা যেন তাদের ঘর ঠিক করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে, নড়িয়ায় পদ্মা নদীর ভাঙন সম্পর্কে প্রায় চার মাস আগেই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিলো বলে দাবি করেছে সরকারেরই একটি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস।
আগেভাগে পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও এই ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন :
এসএস
মন্তব্য করুন