বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি, আহত ৬
বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলের এক নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় একটি ফিশিং ট্রলারে বনদস্যুরা হামলা চালিয়ে জাল ও মালামালসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদ লুটে নিয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে এই দস্যুদের হামলায় বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার এফবি সুমন নামের ফিশিং ট্রলারের ছয় জেলে আহত হয়েছেন। এখনও সাগরে নিখোঁজ রয়েছেন এক জেলে।
শরণখোলার রাজৈর মৎস্য ঘাটে ফিরে এসে আহত জেলেরা জানান, বুধবার রাতে তারা এফবি সুমন নামের ফিশিং ট্রলারের ১৬ জেলে বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন উপকূলের এক নম্বার ফেয়ারওয়ে বয়ার পূর্ব দিকে অবস্থান নিয়ে সাগরে জাল ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এসময় এফবি শিকদার নামের একটি ফিশিং ট্রলারে করে ২০ থেকে ২৫ জনের একদল বনদস্যু এসে রামদা, চাপাতি, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে জেলেদের ওপর হামলা চালায়। লুট করে নিয়ে যায় আট লাখ টাকা মূল্যের ইলিশ ধরার জালসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল।
এ সময়ে দস্যুদের মারধরে ট্রলারের মাঝি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের জিলবুনিয়া গ্রামের ফুলমিয়া হাওলাদার (৩৮), খাদা গ্রামের রিয়াদুল তালুকদার (৪০), দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের রনি হাওলাদার (১৮), কদমতলা গ্রামের সাইয়েদ হাওলাদার (৫০), আফজাল শাহ (৫৫) ও ধানসাগর ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের মনির খান (২৮) নামের ছয় জেলে আহত হন।
এসময় দস্যুরা চার জেলেকে সাগরে ফেলে দেয়। পরে তিন জেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও শরণখোলার ধানসাগর ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের আমীর আলী হাওলাদারের ছেলে মো. জাহাঙ্গীরকে (৫০) আর খুঁজে না পেয়ে তারা ফিরে এসেছে।
শরণখোলার এফবি সুমন নামের ফিশিং ট্রলারটির মালিক উত্তর কদমতলা গ্রামের মো. কালাম মৃধা জানান, আহত ছয় জেলেকে বুধবার গভীর রাতে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।
শরণখোলা উপজেলা জাতীয় মৎস্য সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন আরটিভি অনলাইনকে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জেবি
মন্তব্য করুন