• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে আরসা
রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণ ও এলাকার উন্নয়নের জন্য: জসিম উদ্দিন
সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, বেঙ্গল গ্রুপ ও আরটিভির ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেছেন, আমরা যারা এখানে আছি সবাই রাজনীতি করি। কিন্তু কেন করি, মানুষের কল্যাণের জন্য এলাকার উন্নয়নের জন্য আমরা রাজনীতি করি। এখানে ইনকামের কোনো সোর্স নেই, নিজের ব্যবসা করে চলতে হয়। আমি এফবিসিসিআইয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বেঙ্গল গ্রুপ ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কারণ, প্রতিষ্ঠানকে আমি সময় দিতে না পারার কারণে।  শনিবার (১৮ মে) বিকেলে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সেবারহাট বাজারে আনারস প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নটা হয় এমপিদের মধ্যমে। এমপির সঙ্গে সমন্বয় না থাকলে তাহলে তেমন উন্নয়ন করা যায় না। দেখবেন কোন ইউনিয়নে প্রচুর কাজ হয়েছে আর কোন ইউনিয়নে তেমন কিছু হয়নি। সাইফুল আলম দিপুকে নির্বাচিত করতে পারলে ধরতে পারবেন। সে একটি ইয়ং ছেলে, গত ১০ বছর এলাকায় প্রচুর সময় দিয়েছে। তার বাবা এমপি, সে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে দুজনে মিলে এলাকার উন্নয়ন করতে পারবে।     আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পদপ্রার্থী বেঙ্গল গ্রুপ ও আরটিভির পরিচালক সাইফুল আলম দিপু বলেন, ‘আমি প্রার্থী না হলে এখানে উপজেলা নির্বাচনে কঠিন সংঘর্ষ লাগতো।’  সাইফুল আলম দিপু বলেন, ‘২১ মে সবাই মা-বোনদেরকে নিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে আনারস প্রতীকে ভোট দেবেন। যাকে তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন না। আমার বাবা এখানকার এমপি ১০ বছর। তার সঙ্গে আমি আছি। আপনারা যদি আমাকে ২১ মে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, তাহলে সব সময় পাবেন। আমি সবার সঙ্গে মিলেমিশে এলাকার উন্নয়নে কাজ করব।’ এ সময় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগানের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাহার উল্ল্যা বাহার, মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম ভূঁইয়া রিগান, কাদরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সামছুদ্দিন রিয়াদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খালেদ মোশারেফ জুয়েল, সেবারহাট বাজার কমিটির সভাপতি আবুল বাহারসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। 
লংগদুতে ২ জনকে হত্যার ঘটনায় ইউপিডিএফের অবরোধ
‘ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার’
নিখোঁজের ২১ ঘণ্টা পর মাদরাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার 
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে প্রধান বিচারপতি
আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ, মালিকসহ আটক ৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরের দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম। আটকৃতরা হলেন উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের মৃত রেয়াছত আলী ভূইয়ার ছেলে ওই হোটেলের মালিক মো. জসিম উদ্দিন ভূইয়া (৪৩), পৌরসভার মসজিদপাড়ার ইউসুফ আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া কালু মিয়ার মেয়ে ও ইব্রাহিমের স্ত্রী রুমা আক্তার (২৫), সদর উপজেলার পাইকপাড়া এলাকার মৃত সাইফুল ইসলামের মেয়ে অনন্যা আক্তার (২৭) এবং কিশোরগঞ্জ সদরের চিকনিরচর গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে মো. রঞ্জিত মিয়া (৩৫)। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌরশহরের সড়ক বাজারের ‘ভূইয়া রেস্ট হাউজ’ থেকে তাদের আটক করা হয়।  এ বিষয়ে ওসি নূরে আলম বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগেও গত ২৬ এপ্রিল অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ওই হোটেলের মালিক, খদ্দের ও যৌনকর্মীসহ ৭ জনকে আটক করেছিল থানা পুলিশ।
কুকি-চিনের নারী শাখার প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শুক্রবার (১৭ মে) বান্দরবানের লাইমী পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘দেশে-বিদেশে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকি-চিনের নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বম। আকিম বম কেএনএফ বান্দরবান সদর ও রোয়াংছড়ি উপজেলা অঞ্চলের নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক।’  তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আকিম বম জানান, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে আকিম ও মাইকেল সন্ধ্যা বেলায় পায়ে হেঁটে কেএনএ এর ট্রেনিং সেন্টারের উদ্দেশ্যে রওনা করেন এবং পরবর্তী দিন পর ভোর পাঁচটার দিকে তারা রোয়াংছড়ির গহীন পাহাড়ি জঙ্গলের ট্রেনিং সেন্টারে পৌঁছান। সেখানে একজন নারী কমান্ডারের সঙ্গে তাদের পরিচিত হন। ট্রেনিং সেন্টারে তাদেরকে স্বাগত জানান ওই নারী কমান্ডার। আকিম বমসহ তাদের ব্যাচে ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতো ৪-৫ জন এবং প্রশাসনিক কাজের জন্য সেখানে আলাদা সদস্য নিয়োজিত ছিল।’ উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।
ঘরে ফিরেছেন নাবিক বিপ্লব, আনন্দে আত্মহারা স্বজনরা
ফেনীর দাগনভূঞার বাসিন্দা নাবিক ইব্রাহিম খলিল বিপ্লব। ২৩ জন নাবিকের মধ্যে তিনি একজন। ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে বিগত চার বছর শিপিং কোম্পানিতে চাকরি করে সপ্তমবারের সফরে সোমালিয়া জলদস্যুর কবলে পড়েন বিপ্লব। একমাস পরেই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে তিনি স্বজনদের কাছে ফিরে আসেন। তাকে পেয়ে পিতা মাতা, দুই ছেলে স্ত্রীসহ সবাই  যেন ঈদের আনন্দে মেতে আছেন। তিনি ফেনী শহরের নাজির রোডের ভাড়া বাসায় আছেন পরিবার নিয়ে।  বিপ্লব জানান, তাদেরকে যখন বন্দি করা হয়, তখন রমজান মাস। মুসলমান সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় তাদের প্রতি কিছুটা ধর্মীয় সহানুভূতি প্রদর্শন করা হয়েছে। থাকা খাওয়া ঘুমানো সবকিছু বন্দুকের নলের সামনে। আতংকের মধ্যে দিয়ে দিনাতিপাত। কোন প্রকার শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। তবে মানসিক যন্ত্রণা, কষ্টের সীমা ছিলো না। দিনরাত আল্লাহর ভরসা করে নামাজ রোজার মধ্যে আমাদের নীরব কান্না। মা বাবাসহ সকলের দোয়া ও ভালোবাসা এবং সরকারসহ কোম্পানির সহযোগিতার মাধ্যমে দেশে ফিরে আসা। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া, তিনি সুস্থ্যভাবে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে এনেছেন। এ ছাড়াও কোম্পানিসহ সবার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিপ্লব। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি দাগনভূঞার মোমারিজপুর গ্রামে গিয়ে সবার সঙ্গে দেখা করে শুকরিয়া আদায় করবেন বলেও জানান নাবিক বিপ্লব। 
‘মনে হতো আর মায়ের কাছে ফেরা হবে না’
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি ২৩ নাবিক দেশে পৌঁছেছেন। এমভি আবদুল্লাহর এই ২৩ নাবিকের বিষয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল সারা দেশের মানুষ। ২৩ নাবিকদের বহন করা লাইটার জাহাজ মঙ্গলবার (১৪ মে) যখন বন্দরে পৌঁছায় তখন ছিল এক অভাবনীয় দৃশ্য। খুশিতে চোখের নোনা জল মুছেছেন নাবিকদের মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানরা। জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাখালিয়া গ্রামের বিনন বেপারী বাড়ির মৃত আজহার মিয়ার ছোট ছেলে ও জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান। বুধবার (১৫ মে) সকালে জানালেন নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। আইয়ুব খান বলেন, জলদস্যুদের কাছ থেকে আমাদেরকে রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক নোবাহিনী চেষ্টা চালিয়েছে। তখন জলদস্যুরা আমাদেরকে গান পয়েন্টে (অস্ত্র তাক) রাখত। আন্তর্জাতিক যুদ্ধ জাহাজ সরে না গেলে আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দিতো। দস্যুরা যখন আমাদের দিকে অস্ত্র তাক করে রাখত, তখন মনে হত এই বুঝি জীবন শেষ। আর বুঝি কখনো মায়ের কাছে ফেরা হবে না। তিনি বলেন, সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে থেকে প্রচণ্ড ভয়ে আমাদের দিন কাটাতে হয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি ভয় হয়েছে মাকে নিয়ে। কারণ, বাবাকে হারানোর একমাস পরই আমি বিপদে পড়েছি। এটি কীভাবে মা সহ্য করছেন তা নিয়েই সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা হয়েছিল। এখন আমি মায়ের কোলে ফিরেছি। এ আনন্দ সকল কষ্ট-সকল ভয় জয় করে নিয়েছে।  আইয়ুব বলেন, আক্রমণের পর জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করতে বলে দস্যুরা। এরপর তারা আমাদেরকে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যায়। প্রায় আড়াই দিন লেগেছে সোমালিয়ায় যেতে। প্রথম কয়েক আমাদের সবাইকে একটি রুমে আটকে রাখে। সবাইকে একই বাথরুম ব্যবহার করতে হয়েছে। দস্যুরাও আমাদের বাথরুম ব্যবহার করেছে। প্রথম কয়েক দিন তারা আমাদের খাবার খেয়েছেন। সোমালিয়ায় পৌঁছানোর পর তারা নিজেদের খাবার সংগ্রহ করে।  তিনি আরও বলেন, ঈদের দিন নামাজ পড়তে পারলেও আনন্দ ছিল না। কারণ বন্দিদশা থেকে কবে মুক্ত হবো তা নিয়েই দিন গুণতে হয়েছে আমাদের। একজন দোভাষীর মাধ্যমে আমরা জানতে পারি- জলদস্যুরা জাহাজ মালিকের সঙ্গে কথা বলেছে। মুক্তিপণ নিয়ে জাহাজ মালিকদের সঙ্গে দস্যুদের সমঝোতা হয়েছে। মুক্তিপণ দিলেই নাবিকরা মুক্তি পাবে। ঈদুল ফিতরের ২-৩ দিন পর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে মুক্তিপণের ডলারের ব্যাগ জাহাজে ফেলা হয়। এরপর টাকা নিয়ে ভাগ হয়ে যায় জলদস্যুরা। তিনভাগে জাহাজ ছাড়ে দস্যু বাহিনীরা। মঙ্গলবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম বন্দরে এসে আত্মীয়-স্বজনদের দেখে মন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। যে ঈদ আমরা আতঙ্কে কাটিয়েছি। পরিবার-স্বজনদের পেয়ে সেই ঈদ আনন্দ আবার আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে।  আইয়ুবের বড় ভাই ওমর ফারুক রাজু বলেন, দস্যুদের আক্রমণের প্রায় এক মাস আগেই বাবা মারা যান। সেই শোক না কাটতেই আইয়ুবসহ ২৩ নাবিক সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এতে পুরো পরিবারের ওপর অমাবস্যার অন্ধকার নেমে আসে। তার ফিরে আসা সবার জন্য আনন্দের।  প্রসঙ্গত, ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল। কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ৫৬ হাজার টন পণ্য চুনাপাথর রয়েছে। এতে প্রায় ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতার পরিমাপ) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার। জাহাজটির ড্রাফট বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাস করে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হয়। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে। এ জন্য দেশে পৌঁছার পরও নাবিকদের ঘরে ফিরতে একটু সময় লেগেছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
৩ দিন বন্ধ থাকবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যান চলাচল
আখাউড়া-আগরতলা সড়কের গাজির বাজার এলাকায় জাজিনদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর পাশে একটি বেইলি ব্রিজ স্থাপন করা হবে। যে কারণে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে শনিবার (১৮ মে) পর্যন্ত এ তিনদিন সড়কের ওই অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ফলে প্রভাব পড়বে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রমে।বন্ধ থাকবে আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা আন্তর্জাতিক বাস সার্ভিস। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, আখাউড়া-আগরতলা সড়কের জাজি নদীর ওপর বেইলি সেতুর বদলে নতুন পি সি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান। নির্মাণাধীন সেতুর পাশে বিদ্যমান বিকল্প সড়কটি বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় সেখানে বেইলি সেতু স্থাপনের কাজ করার জন্য বৃহস্পতিবার ১৬ মে রাত ১০টা থেকে ১৮ মে রাত ১০টা নাগাদ সবধরনের যানবাহন বন্ধ থাকবে। তাই জনসাধারণকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সেতু নির্মাণকাজে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক বন্ধ থাকলেও বিকল্প সড়কে ছোট যানবাহন ব্যবহার করে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকবে।’
শত্রুতার জেরে ১০ লাখ টাকার গাছ কাটার অভিযোগ 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় নার্সারি থেকে ফল চুরি করাকে কেন্দ্র করে রাতের অন্ধকারে নার্সারিতে থাকা প্রায় ১০ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের যমুনা গ্রামে বিসমিল্লাহ নার্সারিতে এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে ভুক্তভোগী মঈন উদ্দিন ৭ জনকে আসামি করে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নার্সারি মালিক মঈন উদ্দিনের নার্সারিতে ফল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নার্সারিতে এসে অশ্লীল গালিগালাজ করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন সোমবার রাতের অন্ধকারে নার্সারিতে ঢুকে বিভিন্ন জাতের ফলের চারা কেটে ফেলে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয় নার্সারির মালিকের। প্রতিপক্ষের লোকজন গাছ কেটেই ক্ষান্ত হননি বিভিন্ন গাছে থাকা ফলও নষ্ট করেছেন।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিপক্ষের নুরুল হকের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার জানান, গত শুক্রবার আমার মেয়ে তামান্না আক্তার (১৩) ও নুরুল হকের মেয়ে সাইমা আক্তার (১১) নার্সারিতে ফুলের টব ক্রয় করতে যায়। এ সময় ঝরে পড়া কিছু ফল কুড়িয়ে নেয়। এ সময় নার্সারির মালিক মঈন উদ্দিন এবং তার স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে ঘরে আটকে রেখে মারধর করেন। তাদের মারধরে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ নুরুল হকের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার ৪ জনকে আসামি করে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।  তিনি আরও জানান, নার্সারির গাছ কাটার ঘটনাটি তাদের সাজানো।  কসবা থানার ওসি মো. রাজু আহাম্মদ জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’