• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
কিশোরীকে ধর্ষণ, বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ভ্রুণ হত্যার অভিযোগ
নরসিংদীর শিবপুরে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও ভ্রুণ নষ্টের অভিযোগে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  শনিবার (১৮ মে) কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে এ মামলা করেন।  অভিযুক্ত বৃদ্ধ উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের পাঁচ পাইকা গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে মো. হিরণ (৬০)। তারা সম্পর্কে প্রতিবেশী দাদা-নাতি। থানায় অভিযোগের পর থেকে অভিযুক্ত হিরণ পালাতক। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন।   জানা যায়, ওই কিশোরীকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন বৃদ্ধ হিরণ। এতে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। পরে হিরণের বাড়িতে ওই কিশোরীর গর্ভপাত ঘটানোর জন্য ওষুধ খাওয়ানো হলে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। আশপাশের সহায়তায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানে তার গর্ভপাত করানো হয়।  এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির বলেন, ‘কিশোরীর বাবা একজন দিনমজুর ও মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। অসচেতন পরিবার। মেয়ে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বুঝতে পারেনি তারা। গত ২৯ এপ্রিল হিরণের বাড়িতে তার গর্ভপাত ঘটানোর জন্য ওষুধ খাওয়ানোর পর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করি আমরা।’  ইউপি সদস্য মনির আরও বলেন, ‘ওষুধ খাওয়ানোর ফলে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায় ওই কিশোরীর। চিকিৎসা দিয়ে সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনার পরে হিরণ পালিয়ে যান। এ ঘটনাকে আপস-মীমাংসা করার জন্য তার ছেলে আল আমিন ও তার মামা মোকলেসের সঙ্গে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। ব্যর্থ হয়ে থানায় অভিযোগ দিতে বলেন তারা। এ অবস্থায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন এলাকাবাসী।’
গোপালগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে ২ নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
হোম ভিজিটের নামে এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়
স্কুলের টয়লেটে রুদ্ধশ্বাস ৬ ঘণ্টা
নির্বাচনী মিছিলে অসুস্থ, প্রাণ গেলো সমর্থকের
চেয়ারম্যান পদে স্বামী-স্ত্রীর লড়াই
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজন। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারণাও শুরু করে দিয়েছেন এ দম্পতি। তারা হলেন মোখলেসুর রহমান সুমন ও তার স্ত্রী লোপা রহমান। সুমন ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের হাজী ইরফান উদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক। তার নির্বাচনী প্রতীক ঘোড়া। মোখলেসুর রহমান সুমনের স্ত্রী লোপা রহমান একই পদে (চেয়ারম্যান) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চান্দা ইউনিয়নের পুলিয়া মন্ডলবাড়ি গ্রামের রাধেশ্যাম মণ্ডলের কন্যা লোপা রহমান। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন। এ উপজেলায় অপর তিন প্রার্থী হলেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন সমর্থিত ৭ নম্বর আলগী ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান কাওছার ভূঁইয়া, লায়ন মো. শহিদুল ইসলাম ও মাইনুল ইসলাম খান। মোখলেসুর রহমান সুমনের স্ত্রী লোপা রহমান গণমাধ্যমে বলেন, ‌আমি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমার স্বামীও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। তবে আমার স্বামীর পক্ষ থেকে কোনো নিষেধ বা চাপ নেই। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাচেন উদ্দিন বলেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বামী-স্ত্রী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। আগামী ২৯ মে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পাহাড় হচ্ছে সমতল ভূমি, মাটিখেকোরা বেপরোয়া
টাঙ্গাইলের কালিহাতী, ঘাটাইল, মির্জাপুর ও সখিপুর উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় ছোট-বড় অর্ধশতাধিক লালমাটির টিলা রয়েছে। ওইসব টিলা কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে। এক শ্রেণির মাটি ব্যবসায়ী স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে দিনরাত ওইসব টিলার মাটি ইটভাটায় সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাটিকাটা রোধে একাধিক বার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হলেও স্থায়ী কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। নির্বিচারে পাহাড়ি টিলা কাটায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। জানা গেছে, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের গান্ধীনা খান পাড়ার হারুন দেওয়ান, মফিজ খান, মুক্তার খান, মতিন খান, শহীদ, মুশফিকুর, আশরাফ, উজ্জল এবং পার্শ্ববর্তী সখিপুর উপজেলার কালিয়ান এলাকার বাবলু, দিদার, নোভেল শিকদার, হারুন শিকদার ও সজীব শিকদারসহ ১৯ জনের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। ঘাটাইল উপজেলার পূর্বাঞ্চলের দেওপাড়া, ধলাপাড়া, সাগরদীঘি, লক্ষিন্দর, সন্ধানপুর, সংগ্রামপুর, রসুলপুর ও দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের কিয়দাংশ; মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই, আজগানা, লতিফপুর, বাঁশতৈল ও তরফপুর ইউনিয়ন এবং সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান, বহেড়াতৈল, গজারিয়া, যাদবপুর, হাতীবান্ধা, কালিয়া, দাড়িয়াপুর ও কালমেঘা ইউনিয়ন পাহাড়ি এলাকা হিসেবে পরিচিত।   টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার কালিহাতী, ঘাটাইল, মির্জাপুর ও সখীপুর এ চার উপজেলায় বন বিভাগের গেজেটভুক্ত বন ভূমির পরিমাণ ৭৭ হাজার ৩১১ দশমিক ৭২ একর। বিএস রেকর্ড অনুযায়ী বনভূমির পরিমাণ ৫৫ হাজার ৯২৩ দশমিক ১৪ একর। এরমধ্যে বিএস রেকর্ড অনুযায়ী কালিহাতী উপজেলায় ২২৪ দশমিক ৫২ একর, ঘাটাইল উপজেলায় ১৮ হাজার ৩৫৩ দশমিক ২৬ একর, মির্জাপুর উপজেলায় ৭ হাজার ৩১৮ দশমিক ৭০ একর এবং সখিপুর উপজেলায় ৩০ হাজার ২৬ দশমিক ৬৬ একর বন ভূমি রয়েছে। এসব বনভূমিতে প্রাকৃতিক ও সামাজিক বনায়নের গাছ-গাছরাসহ ছোট-বড় অর্ধশতাধিক টিলা রয়েছে। ওইসব টিলায় স্ব স্ব স্থানীয় মাটিখোকোদের চোখ পড়েছে। তারা নানা প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাত করে এসব এলাকার পাহাড় ও টিলা কেটে ইটভাটায় মাটি বিক্রি ও সরবরাহ করছে। তাছাড়া পাহাড়ের লাল মাটি দিয়ে পুকুর ও নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে। বিভিন্ন ফসল ও সবজি আবাদের নাম করে কিংবা বাড়িঘর নির্মাণের অজুহাতে ২০-৩০ ফুট উঁচু টিলা কেটে সমতলভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে।   স্থানীয়রা জানান, ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের জুগিয়াটেংগর গ্রামের আবুবকর মিয়া, আবুল হোসেন ও তার ভাই নুরুল ইসলামসহ আরও অনেকের নেতৃত্বে ছোট-বড় লাল মাটির অনেক পাহাড় ও টিলাসহ বন বিভাগের জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন। পহাড় ও টিলা কাটার আগে ওইসব স্থানের প্রাকৃতিক ও সামাজিক বনায়নের গাছগুলোও কৌশলে কেটে বিক্রি করা হয়। উল্লেখিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রতি বছর চলে লাল মাটির পাহাড় ও টিলা কাটার ধুম। এ বছরও লাল মাটির সুউচ্চ টিলা কেটে মাটি বিক্রি করে সমতলভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে। ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের পাশের এলাকার টিলা ইতোমধ্যে কেটে শেষ করা হয়েছে। দেওপাড়া, মলাজানি ও ঝড়কা থেকে দক্ষিণ দিকে ভানিকাত্রা হয়ে মাইধারচালা পর্যন্ত রাস্তার পাশে পাহাড় কাটা হচ্ছে।   সখিপুর উপজেলার কাকড়াজান, বহেড়াতৈল, গজারিয়া, যাদবপুর, হাতীবান্ধা, কালিয়া, দাড়িয়াপুর ও কালমেঘা ইউনিয়নের সাপিয়ার চালা, বাগেরবাড়ি, ইন্দারজানী, গড়বাড়ি, আড়াংচালা, আমতৈল, আমগাছ চালা ও গিলাচালা প্রভৃতি এলাকায় মাটি ব্যবসায়ী শহীদ, রুস্তম আলী, হায়দর আলী, সোহেল, হাসমত ডাক্তার, পান্নু, মেহেদী, আরিফ, হাইসাব, মজনু, আজিজ ও নাফিকুল অবাধে লাল মাটির পাহাড় ও টিলা কেটে বিক্রি করছেন। মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই, আজগানা, লতিফপুর, বাঁশতৈল ও তরফপুর ইউনিয়নের পাহাড় ও টিলা কেটে বিক্রি করছেন মাটি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর দেওয়ান, আমিনুর, আবিদ শিকদার, শহিদুল দেওয়ান ও জুলহাস।   খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মাটি ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে দিনে-রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে পাহাড় ও টিলার লাল মাটি কেটে ভারী ভারী ডাম্পট্রাকে পরিবহন করে ইটভাটায় বিক্রি ও সরবরাহ করছেন। মাটি ভর্তি ওভারলোডের ভারি ডাম্পট্রাক চলাচল করায় গ্রামীণ রাস্তা ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক নষ্ট হচ্ছে। গ্রামীণ রাস্তা ও আঞ্চলিক সড়কের পাশে আবাদ করা ধানখেত, সবজিখেত, বাড়িঘর, মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে। মাটিখেকোরা পাহাড় ও টিলার মাটি কাটার আগে সেখানকার গজারি, আকাশমনি, কাঁঠাল গাছ, বাঁশঝাড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। ভেকু মেশিন (খনন যন্ত্র) দিয়ে যথেচ্ছভাবে পাহাড় ও টিলার মাটি কাটায় মির্জাপুরের লতিফপুর ইউনিয়নের লতিফপুর, নৌকারচালা, শেরখারচালা, ট্যাকপাড়া ও কদমা গ্রামের কয়েকটি পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ঝুঁকিতে রয়েছে। কোন কোন স্থানে উঁচু টিলার লাল মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহের পাশাপাশি সমতল করা জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ আবাসস্থল গড়ে তোলা হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ থাকলেও মাটিখোকো চক্রের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না। পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি বিক্রি করার ফলে স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। এক সময় সখিপুর উপজেলার নানা অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী বসবাস করতো। কালক্রমে জনসংখ্যার আধিক্যে বনাঞ্চল নিধন, পাহাড় কেটে বাড়িঘর ও ফ্যাক্টরি তৈরির কারণে বন্যপ্রণীর মধ্যে কিছু কিছু এলাকায় শুধুমাত্র ২-১টা বানর দেখা যায়। এরাও খাদ্যাভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এভাবে নির্বিচারে লাল মাটির পাহাড় ও টিলা কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করলে এবং গাছপালা ধ্বংস করলে এক সময় ধরিত্রী জনমানব ও প্রাণিকূলের বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়বে।   টাঙ্গাইলের পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি বিক্রি বিরুদ্ধে স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়েও মাটি ব্যবসায়ীদের ফেরানো যাচ্ছে না। বার বার দিন ও রাতে অভিযান চালিয়ে আর্থিক জরিমানা ও কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েও তেমন কোনো প্রতিকার মিলছেনা। জামিনে মুক্ত হয়ে বা জরিমানা পরিশোধ করে আবার পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি বিক্রির মাধ্যমে জরিমানার টাকা আদায় করায় মেতে উঠছে। মাটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকার দলীয় স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের যোগসাজশ থাকায় তারা বেপরোয়া। ফলে স্থানীয় প্রশাসনের শক্ত অবস্থানেও পুরোপুরি সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।   কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করে জানান, ‘স্ব স্ব স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, বন বিভাগের বিট ও রেঞ্জ কর্মকর্তাদের মৌখিক অনুমতি নিয়েই তারা পাহাড় ও টিলার মাটি কাটছেন। এ ছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে টাকা দিয়ে মৌখিক সমর্থন আদায় করতে হয়। দিনশেষে তাদের হাতে দিনমজুরির টাকাই থাকে। কোনো কাজ নেই তাই তারা মাটির ব্যবসা করে কোনো রকমে দিনাতিপাত করছেন।’ মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের রহিজ উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে মাটি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর দেওয়ান দম্ভোক্তি করে জানান, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের জানিয়েই দিনরাত মাটি কাটছেন। জাহাঙ্গীর দেওয়ান প্রকাশ্যে লতিফপুর ইউনিয়নের নৌকারচালা, শেরখারচালা ও কদমা গ্রামের লাল মাটির টিলা ভেকু মেশিন (খননযন্ত্র) দিয়ে কেটে ড্রাম ট্রাকে ইটভাটায় বিক্রি ও সরবরাহ করছেন।   কয়েকটি ইটভাটার মালিক জানান, ইট তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে মাটি। সমতলের সাদা-কালো মাটি সহজলভ্য নয়। যা পাওয়া যায়, দাম অনেক বেশি। এ দিকে শুধু পাহাড়ি লালমাটি দিয়ে ইট তৈরি করা যায়না। লাল মাটির সঙ্গে বালু মিশিয়ে তার সঙ্গে খৈল, টিএসপি ও ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে ইট তৈরির উপযোগী করা হয়। টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন জানান, পাহাড়ের লাল মাটি কাটার জন্য তারা ইতোমধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মাটি কেটে যারা পরিবেশ বিনষ্ট করছে তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান বলেন, ‘টাঙ্গাইলের পাহাড়ি এলাকায় বন বিভাগের জায়গা থেকে মাটি কেটে বিক্রি করায় তারা কয়েকটি ভেকু মেশিন জব্দ ও কয়েকটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় তিনি কথা বলেছেন। এরপরও কোথাও লালমাটি বা টিলা কাটা হলে বন বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, জেলার পাহাড় ও টিলা কেটি মাটি বিক্রির অপরাধে গত তিন মাসে অন্তত ৫০ জনকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অনেকগুলো ভেকু মেশিন জব্দ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৮০-৯০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।   তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে পাহাড় বা টিলা কেটে মাটি বিক্রিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে। অপরাধীরা যত কূটকৌশলই অবলম্বন করুক আইনের হাত থেকে তারা রেহাই পাবেনা।
সাভারে অসুস্থ প্রবীণ সাংবাদিকের পাশে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান
সাভারে প্রেসক্লাবের এক প্রবীণ সাংবাদিকের চিকিৎসার ব্যয়ভারের দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব। এ সময় প্রবীণ সাংবাদিক ও সাবেক দৈনিক সংবাদের সাভার প্রতিনিধি পার্থ চক্রবর্তীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন তিনি।   শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে সাভার পৌর এলাকার তালবাগ মহল্লায় সাংবাদিক পার্থ চক্রবর্তীর বাসায় এসে তার পরিবারের খোঁজখবর ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এ উপজেলা চেয়ারম্যান। প্রবীণ সাংবাদিক পার্থ চক্রবর্তী স্ত্রী বীণা চক্রবর্তী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ শ্বাসকষ্ট ও ব্রংকাইটিস রোগে আক্রান্ত তার স্বামী। ২০২০ সালে মহামারি করোনা রোগেও আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এতে ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে কয়েকবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করে তার স্বামীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতেই অক্সিজেন সরবরাহের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস নেন সাংবাদিক পার্থ চক্রবর্তী।  এতে প্রতিদিন অতিরিক্ত ব্যয় হয় বলে জানান তার স্ত্রী।   এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব বলেন, ‘আমি সাংবাদিক পরিবারের সন্তান। পার্থ চক্রবর্তী র্দীঘদিন সততার সঙ্গে সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি সাভারের সাংবাদিকদের আদর্শ। তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করছি।’ মঞ্জুরুল আলম রাজীব আরও বলেন, ‘তার সকল চিকিৎসার ব্যয়ভার আমার সাধ্য অনুয়াযী পূরণ করার চেষ্টা করবো। আমি এসে দেখেছি তার প্রতিদিন অক্সিজেন নিতে হয়। তার জন্য আমি একটি অক্সিজেন উৎপন্নকারী মেশিন কিনে দেওয়ার জন্য টাকা দিয়েছি।’  একই সঙ্গে প্রতিমাসে ওষুধ ব্যয়সহ হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সহযোগিতার কথা জানান তিনি। এ সময় সাভারে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 
সহপাঠীর উত্ত্যক্তে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
মুন্সীগঞ্জে সহপাঠীর উত্ত্যক্তে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ইন্তেজা আক্তার অন্তু (১৫) নামের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। গত মঙ্গলবার সিরাজদিখান তেলীপারায় মধ্যপাড়া ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অন্তু ওই গ্রামের দেলোয়ার শেখের দ্বিতীয় মেয়ে। জানা গেছে, মালপদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল অন্তু। তাকে স্কুলের সহপাঠী একই ক্লাসের সিয়াম প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে। এর কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। মঙ্গলবার বিকালে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজ ঘরে ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে অন্তু। এমতাবস্থায় তার (অন্তু) মা বর্ণা বেগম দেখে ফেললে প্রথমে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্তু মারা যায়। অন্তুর বাবা দেলোয়ার সেখ বলেন, লৌহজং উপজেলার ঘাসভোগ গ্রামের তিলাল হাওলাদারের ছেলে সিয়াম আমার মেয়ের প্রায়ই অন্তুকে উত্ত্যক্ত করত। কিন্তু বাড়িতে এসে আমাদের কিছুই জানাত না অন্তু। সিয়ামের কারণেই আমার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।   সিরাজদিখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরী আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।  
টঙ্গীতে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন
গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত পৌঁনে ১১টার দিকে টঙ্গীর সিলমুন মোল্লার গ্যারেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ার্দার। তিনি বলেন, কারখানাটিতে প্লাস্টিকের দানা তৈরি করা হতো। আগুনের খবর পেয়ে প্রায় এক ঘন্টা যাবত আমাদের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে। প্রায় এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ আব্দুল হামিদ লিচু মিয়ার প্লাস্টিক কারখানার ভেতরে ধোয়ার কুণ্ডলী দেখতে পাওয়া যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কারখানা মালিক আব্দুল হামিদ লিচু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, কারখানাটিতে প্লাস্টিকের বস্তা ও বিভিন্ন বোতল গলিয়ে প্লাস্টিকের দানা তৈরি করা হতো। আগুনে কারখানার মালামাল ও মেশিনপত্র পুড়ে গেছে।
তাপপ্রবাহে এক বিদ্যালয়ের ৩০ শিক্ষার্থী অসুস্থ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে তীব্র গরমে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অসুস্থ ১ শিক্ষার্থীকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে উপজেলার হোসেনপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষা অফিসার সালমা আক্তার।  জানা যায়,তীব্র গরম থাকায় এদিন ১ম শ্রেণির একটি কক্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী হঠাৎই অসুস্থতা অনুভব করতে থাকেন। পরে অন্য শ্রেণিগুলোতে গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়। অসুস্থ এসব শিক্ষার্থীদের স্কুলের অফিস রুমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়৷  এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা আরটিভি নিউজকে জানান, হঠাৎই তীব্র গরমে একটি ক্লাসের কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে যায়। পরে অন্যান্য শ্রেণিতে গিয়ে একই অবস্থা দেখা যায়। কয়েকজন অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিয়ে যায়। পরে, আমরা প্রতিষ্ঠানটি ছুটি দিয়ে দেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল আরটিভি নিউজকে জানান, গরম কিছুটা বেশি। ঘটনাস্থলে এসে দেখেছি কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। স্কুল ছুটি দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান,বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।