• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
র‌্যাব হেফাজতে নারী আসামির মৃত্যু
শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
শেরপুরের শ্রীবরদীতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।  শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে শ্রীবরদী-শেরপুর সড়কের ভারেরা তিন রাস্তার মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কুড়িকাহনিয়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে হৃদয় (১৯) ও তারা মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া (১৭)। আহত মাসুম মিয়ার ছেলে তৌহিদ মিয়া (১৮)। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, দুপুরে হৃদয়, ফয়সাল ও তৌহিদ বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী জামালপুলের বকশিগঞ্জের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার জন্য যাচ্ছিলেন তারা। ভারেরা তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক আসা অটোরিকশার সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেলের আরোহী তিনজন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে দুজনকে শ্রীবরদী ও একজনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক হৃদয় ও ফয়সালকে মৃত ঘোষণা করেন। শ্রীবরদী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অমিও জ্যোতি বলেন, দুজনের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আরেকজনকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ খান নুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত হৃদয় এবার এসএসসি পাস করেছে আর ফয়সাল দশম শ্রেণির ছাত্র। আহত তৌহিদ মাদরাসা থেকে হাফেজি শেষ করেছে।
ভাইয়ের জন্য ওষুধ আনতে গিয়ে ফেরা হলো না নাফিসের
ময়মনসিংহে গণশুনানি : বিআরটিএ নিয়ে সেবাগ্রহীতাদের অসন্তোষ 
শেরপুরে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন
নেত্রকোণায় ৪৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৮ জনই পেলেন জিপিএ-৫
যে শিশুর কান্নায় কেঁদেছে দেশ
ময়মনসিংহের ভালুকায় স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় শিশু সন্তান ও তার মা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে-৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ ওই শিশু ও তার মাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখান শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা মারা গেলেও আহত শিশু ছেলেটি বেঁচে যায়। তার ‘মা মা’ চিৎকারে ভারি হয়ে ওঠে হাসপাতালের শিশু বিভাগ। তার কান্নার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে; যা দেখে সারাদেশের মানুষ কেঁদেছেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে আহত শিশুটি এবং নিহত মায়ের মরদেহ শনিবার (১১ মে) পর্যন্ত মর্গে পড়ে থাকার পর তাদের পরিচয় মেলে। এদিন রাতে শিশুটির মামা মো. রবিন মিয়া ফেসবুকে তাদের ভিডিও দেখে রোববার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, নিহত ওই মায়ের নাম জায়েদা (৩২)। তিনি সিলেট সুনামগঞ্জ জেলার দুয়ারা উপজেলার খুশিউড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রমিজ উদ্দিনের মেয়ে। বেঁচে যাওয়া দেড় বছর বয়সী শিশুটির নাম জাহিদ হোসেন। নিহত জায়েদার বড় ভাই মো. রবিন মিয়া বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে জায়েদার মৃত্যুর খবর পাই আমরা। ভালুকার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জাহিদকে নিয়ে বসবাস করতেন জায়েদা। পারিবারিক বিরোধের কারণে স্বামী ছাড়াই বাচ্চাকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। আমার বোনের কপালে এমন দুর্ভোগ লেখা ছিল যার কষ্ট তার ছোট্ট শিশুকেও বইতে হচ্ছে। ভালুকা হাইওয়ে থানা পুলিশের কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন জানান, কাপাসিয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. ফারুক মিয়ার সঙ্গে নিহত জায়েদার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। ফারুক স্থানীয় বাসিন্দা কফিল উদ্দিনের ছেলে। ফরুকের ঘরে প্রথম স্ত্রীসহ তিনটি সন্তান রয়েছে। যে কারণে জায়েদার বিয়ে মেনে নেয়নি ফরুকের পরিবার। ফলে জায়েদার সঙ্গে তার স্বামীর যোগাযোগ না থাকায় স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জাহিদকে নিয়ে বসবাস করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনার দিন রাতে তিনি রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি জানান, জায়েদার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে, শিশু জায়েদকে এখনো হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে তার চিকিৎসায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ফার্মেসিতে ঔষধের খালি বক্সে মিললো অর্ধ শতাধিক সাপের বাচ্চা
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলাধীন ঘাগড়া গ্রামে ওষুধের খালি বক্সে মিলল অর্ধ শতাধিক সাপের বাচ্চা।  শনিবার (১১ মে) এশার নামাজের পর স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারে এক ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটেছে।  প্রতিদিনের মতো এদিন এশার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন শিফা ফার্মেসির মালিক মো. দুলাল। তার দোকানে ওষুধ বিক্রির পর খালি বাক্সগুলো একটি বড় কার্টুনে ভরে পেছনে রাখতেন। চরপাড়া গ্রামের আশু মিয়া এসেছিলেন সেগুলো নিতে। তখন দোকানের পেছনে যান এবং কার্টুন নিয়ে বাহিরে এসে ঢেলে দেন। তারপর একে একে বেরিয়ে আসে ৩০-৪০টি সাপের বাচ্চা। তৎক্ষণাৎ উৎসুক জনতা ভিড় করে এবং সাপগুলো মেরে ফেলে। তারপর দোকানের পেছন থেকে আরও অনেক সাপের বাচ্চা পাওয়া যায়। একই বাজারের ব্যবসায়ী রানা এবং হাজারী বেপারীর দোকান থেকেও কিছুদিন আগে ৭-৮টি সাপের বাচ্চা পাওয়া যায়। তারা জানান, দোকান পরিষ্কার করতে গিয়ে এসব বাচ্চা বেরিয়ে আসে। কিন্তু সেখানে কোনো বড় সাপ দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে সব ঢোরা সাপের বাচ্চা।  স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল জানান, কিছুদিন ধরে এ বাজারের আনাচে-কানাচে সাপের বাচ্চার ছড়াছড়ি। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী উভয়েই আতঙ্কিত। তবে ভাগ্যের বিষয় এগুলো বিষধর সাপ নয়। ঘাগড়া-চৌরাস্তা বাজারের সভাপতি সোহেল জানান, বেশ কিছুদিন ধরে শুনছিলাম বাজারের কয়েকটি দোকানে সাপের উপদ্রবে সবাই আতঙ্কিত। এক ফার্মেসির পেছনে ৪০-৫০টি সাপের বাচ্চা পাওয়া আমাদের সবার জন্য দুশ্চিন্তার। আমাদের সবাইকে দোকানপাট পরিষ্কার রাখতে হবে এবং আরও সতর্ক থাকতে হবে।  
তানাজের জিপিএ-৫ পাওয়ার খবর বাড়িয়ে দিল মা-বাবার শোক
ময়নসিংহ বোর্ড থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন শেরপুর শহরের নওহাটা এলাকার কুয়েতপ্রবাসী মোকাদ্দেসুর রহমান তোরাব ও মোছা. মনিরা বেগম দম্পতির বড় সন্তান মাশুরা নোকাদ্দেস তানাজ। রোববার (১২ মে) প্রকাশিত ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র বাংলা বিষয়ে এ গ্রেড, বাকি সব বিষয়েই এ প্লাস পেয়েছে সে। তবে এক সড়ক দূর্ঘটনার কারণে নিজের ফলাফল দেখে যেতে পারেননি তিনি।  তানাজের ফল প্রকাশের পর বাবা-মায়ের যন্ত্রণা যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। মেয়ের ছবি জড়িয়ে বুক চাপড়ে কাঁদছেন মা। নির্বাক ভঙ্গিতে অঝোরে চোখের পানি ছাড়ছেন বাবা। কারণ, সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাদের এই মেধাবী মেয়ের প্রাণ। জানা গেছে, মাশুরা নোকাদ্দেস তানাজ শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। গত ৩১ মার্চ তানাজের মামা কুয়েতপ্রবাসী সোহাবুর রহমান বাপ্পীকে বিমানবন্দর থেকে আনতে সপরিবারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। পথে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার জামান ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী তানাজ ও তার ছোট ভাই আড়াই বছর বয়সী শিশু আনাছ। আহত হয় তাদের বাবা-মাসহ তিনজন। এদিন তানাজের বাড়িতে যেয়ে দেখা যায়, ছেলে মেয়ে হারানোর শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি মা-বাবা। এরই মধ্যে মেয়ের এতো বড় সাফল্য তাদের শোককে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ওই ঘটনায় আহত তানাজের মা মনিরা এখনো পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। স্মৃতি স্মরণ করে কেঁদেই চলেছেন অসুস্থ মা। অপরদিকে মেয়ের ছবি ও স্কুলের আইডি কার্ড বের করে অশ্রুসিক্ত চোখে বারবার হাত বুলিয়ে দেখছেন বাবা। মেয়েকে চিকিৎসক বানানোর স্বপ্ন ছিল তাদের। এক সড়ক দুর্ঘটনা তাদের সেই স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে। তানাজের বাবা মোকাদ্দেসুর রহমান বলেন, আমার তানাজ খুবই মেধাবী ছিল। ওর ইচ্ছে ছিল চিকিৎসক হওয়ার। পড়াশোনার প্রতি ওর আগ্রহ আর মনোযোগ দেখে, আমরা ওকে চিকিৎসকই বানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা আমাদের ছেলে-মেয়ের সঙ্গে সব স্বপ্নও কেড়ে নিয়েছে। তানাজের বিষয়ে শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবু তারেক বলেন, তানাজ খুব মেধাবী ছাত্রী ছিল। সে খুবই শান্তশিষ্ট ছিল। তানাজ জেএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এবারের এসএসসি পরীক্ষাতেও সে খুব ভালো করেছে। ফল প্রকাশের পর তার সহপাঠীরাও তানাজকে স্মরণ করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে।  
এসএসসিতে দুবার অকৃতকার্য, শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে শোহেদা আক্তার (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় তার সহপাঠী ও পরিবারের স্বজনদের মধ্যে আহাজারি সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১২ মে) দুপুরে উপজেলার পুরাকান্দলিয়া ইউনিয়নের বতিহালা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। শোহেদা আক্তার স্থানীয় বতিহালা গ্রামের ছমেদ আলীর মেয়ে। তিনি বতিহালা উচ্চবিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। বতিহালা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলকাছ মিয়া বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। মৃত শোহেদা আক্তার দ্বিতীয় বার এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন। ধোবাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুবেল মিয়া বলেন, ‘আজ এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর শিক্ষার্থী শোহেদা আক্তার জানতে পারেন তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন। ফলাফল মেনে নিতে না পারায় তিনি নিজ ঘরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। এর আগে তিনি গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিলেন। পুনরায় পরীক্ষা দিয়েও অকৃতকার্য হন। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ময়মনসিংহে ২ ঘণ্টায় কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৩৪০টি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার দুটি কেন্দ্রে গত ২ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৩৪০টি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে মনে করেছেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা।  বুধবার (৮ মে) সকাল ১০টায় জেলার ফুলপুর নারী ভোটকেন্দ্র ৮১ নম্বর বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের মোট ভোটার সংখ‍্যা ৩ হাজার ৭৫০। এর মধ‍্যে ২ ঘণ্টায় ৯১টি ভোট পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ জহিরুল হক মন্ডল।  সেই সঙ্গে এই এলাকার পুরুষ ভোটকেন্দ্র ৮০ নম্বর বালিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ‍্যালয়ের মোট ভোটার সংখ‍্যা ৩ হাজার ৭৯১। এর মধ‍্যে দুই ঘণ্টায় ২৪৯টি ভোট পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার রিপন চন্দ্র দেবনাথ। এ হিসাবে ভোট গ্রহনের প্রথম দুই ঘন্টায় মোট ৭৫৪১টি ভোটের মধ‍্যে ভোট পড়েছে ৩৪০টি। এতে ভোটের পার্সেন্টিস শতকরা ৪ দশমিক ৫০।  সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এই কেন্দ্র দুটিতে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। তবে এতে ভোটার উপস্থিতি অতি নগণ্য। সেই সঙ্গে ৮১ নম্বর বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের নারী কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় গড়মিল থাকায় ভোট প্রদানে বিড়ম্বনার শিকার হতে দেখা গেছে ভোটারদের।  সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে ২৩৯টি কেন্দ্রে মোট ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৪৬৭ জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন।   জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ভোটের মাঠে সরব আছে।
বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে গেল গাড়ি, প্রাণে রক্ষা পেলেন ইউএনও
ময়মনসিংহের ফুলপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকালে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি গাড়ি।  এ ঘটনায় অল্পের জন‍্য প্রাণে রক্ষা পেলেও আহত অবস্থায় গাড়িতে থাকা ইউএনও আরিফুর রহমান প্রিন্সকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  বুধবার (৮ মে) ভোর পৌনে ৬টায় উপজেলার শেরপুর সড়কের সিংহেশ্বর ইউনিয়নের হরিরামপুর এলাকায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান খবরের সত‍্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শেরপুরগামী ঝিনাইগাতী এক্সপ্রেসের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে ঈশ্বরগঞ্জের ইউএনও এর সরকারি গাড়ির সামনের অংশ। এ ঘটনায় অল্পের জন‍্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ইউএনও মহোদয়। তবে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম আরিফুল ইসলাম জানান, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকালে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন তিনি সুস্থ আছেন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।