• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
জঙ্গি ও সন্ত্রাস সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি
প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হাসপাতালে নিলেন বাবা-মা, অতঃপর...
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ (কীটনাশক) খাইয়ে বাবা-মা হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া হয়েছে। এমন লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীমঙ্গলের ভূনবীর ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামে।  শুক্রবার (১৭ মে) রাতে নিজ সন্তানকে ওই বাবা-মা হত্যা করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  স্থানীয়রা জানান, ফারিয়া আক্তার নামের ওই শিশুর বাবার নাম রাশেদ মিয়া ও মা একই গ্রামের ওয়াসিত মিয়ার মেয়ে শাপলা বেগম। রাশেদ ওই গ্রামের ফয়জল মিয়ার ছেলে।  স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, ফারিয়া নামে আড়াই বছরের সন্তান জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল। সে চলাফেরা করতে পারত না। শুধু বিছানায় শুয়ে থাকত। এতে শিশুর মা-বাবা ধৈর্যহারা হয়ে পড়েন। তারা প্রায় সময় ফারিয়াকে অবহেলা করে ঘরের বাইরেও ফেলে রাখতেন। শুক্রবার বিকালে ফারিয়ার মুখে কীটনাশক ঢেলে দেন ওই দম্পতি। পরে নিজেরাই ফারিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মেয়েটি মারা যায়। মেয়ের মরদেহ বাড়িতে এনে দাফনের চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু ইতোমধ্যে বিষ খাওয়ানোর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ফারিয়ার বাবা-মা ও নানি পালিয়ে যান। ঘর থেকে পুলিশ ফারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে।  এ ঘটনায় ফারিয়ার নানা ওয়াসিত মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।  এদিকে বিষ প্রয়োগের কারণে ফারিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট মেডিকেল অফিসার আব্দুর রউফ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধী সন্তান হওয়ার কারণে আড়াই বছরের ফারিয়াকে তার মা-বাবা কীটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলেছেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
‘প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্সের কারণে জঙ্গিবাদ দমনে সাফল্য এসেছে’
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে ৭ দিনের স্থিতাবস্থা
হবিগঞ্জে সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক
১২ বছর ধরে গৃহশিক্ষকের বলাৎকারের শিকার মাহি, অতঃপর...
মামাকে সমর্থন দিয়ে ভাগিনার প্রার্থিতা প্রত্যাহার
শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মামাকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন ভাগিনা। রোববার (১২ মে) দুপুরে শহরের মহসিন অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী আফজাল হক তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।  তিনি জানান, তার মামা বীর মুক্তিযোদ্ধা আছকির মিয়া এবারের নির্বাচনে দাঁড়ানোর কারণে তিনি তার বিবেকের কাছে আটকে গেছেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, বয়োজ্যেষ্ঠ, উপজেলা পরিষদের সাবেক প্রথম চেয়ারম্যান।  মামার প্রতি সম্মান জানিয়ে আর আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধে নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানান তিনি। এ সময় তিনি আরও জানান, পরবর্তী নির্বাচনে তিনি আবার প্রার্থী হবেন। তিনি তার সমর্থক, কর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সকল ভোটারদের প্রতি অনুরোধ করেন, তার মামাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য।  তিনি উপজেলার হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের ও দল-মতের ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এ পর্যন্ত তাকে সমর্থন ও সহযোগিতা করার জন্য। উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মে শ্রীমঙ্গল সদর উপজেলায় তৃতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুরুষ ৪ জন ও মহিলা ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা যায়। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আছকির মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউছুব আলী, ভূনবীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোতলিব, মুক্তিযোদ্ধা আবু শহীদ আব্দুল্লা, শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী কামাল হোসেন, মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়াম্যান ফিরোজ মাস্টার, পরিবহন ইউনিয়নের শ্রমিক নেতৃবৃন্দসহ সহস্রাধিক কর্মী।
হ‌বিগ‌ঞ্জের লাখাইয়ে নারী শি‌ক্ষিকার মর‌দেহ উদ্ধার
হ‌বিগ‌ঞ্জের লাখাইয়ে এক নারী শিক্ষিকার বিষপানে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।  রোববার (১২ মে) বিকেলে রিবন রুপা দাস (৪০) নামের ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  রিবন রুপা দাস ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এবং লাখাই মুক্তিযোদ্ধা কলেজের শিক্ষক অজয় চন্দ্র দাশের স্ত্রী।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের। স্থানীয়রা জানান, শিক্ষিকা রিবন রুপা দাসের মরদেহ নদীর পা‌শে প‌ড়ে ছিল। পরে পু‌লিশকে খবর দেওয়া হলে লাখাই থানা পুলিশ ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। মরদেহের পাশে দুটি বিষের বোতল পেয়েছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, বিষপানে তার মৃত্যু হয়েছে।  ওসি মো. আবুল খায়ের বলেন, রোববার ঘটনাস্থল থেকে রিবন রুশার দাশের মরদেহ উদ্ধার করার পর সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।  ওসি মো. আবুল খায়ের আরও বলেন, ওই শিক্ষিকার সঙ্গে থাকা ব্যাগ, মোবাইল ফোন, চেক বইয়ের পাতা ও ব্যাংকের এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুটি বিষের বোতল পাওয়া গেছে। একটি ব্যবহৃত এবং অপরটি অব্যবহৃত অবস্থায় ছিল।  
হবিগঞ্জের শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকার আত্মহত্যা
 হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ভরপূর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও জেলার শ্রেষ্ঠ হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত রিবন রুপা দাস (৪০) বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১২ মে) বিকেলে লাখাই উপজেলার গোয়াখাড়া গ্রামের লুকড়া মাদনা সড়কের ঝনঝনিয়া ব্রিজের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের অজয় চন্দ্র দাশের স্ত্রী। জানা গেছে, ওই শিক্ষিকা এলাকার বেশ কয়েকজন সুদখোরের কাছ থেকে সুদে টাকা নেন। কিন্তু সময়মতো টাকা ফেরত দিতে না পারায় তারা তাকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করতে থাকে। সুদখোরদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেন রুপা দাশ। হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান জানান, রুপা দাসের মরদেহ ঝনঝনিয়া নদীর পাশ থেকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মরদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইডাল নোট ও ৩টি বিষের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।   
তাহিরপুরে শিশু সাকিবুল হত্যাকাণ্ডে আটক ৫
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে যাদুকাটা নদীতে শিশু সাকিবুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। নিহত সাকিবুল স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। সে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মোদেরগাঁও গ্রামের কৃষক হারুণ মিয়ার ছেলে।  শনিবার (১১ মে) ভোরে মোদেরগাঁও গ্রাম থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। আটককৃতরা সবাই ওই গ্রামের বাসিন্দা।  স্থানীয়রা জানান, সাকিবুল হত্যার ২৩ দিন পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এই পাঁচজনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এর মধ্যে দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন। আটককৃতদের মধ্যে সাবিকবুলের আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা রয়েছেন। পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ডে সংঘটিত হতে পারে।  এ দিকে পুলিশ বলছে, আটককৃতদের সঙ্গে নিহত সাকিবুলের পরিবারের মামলাজনিত বিরোধ ছিল।  তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন পাঁচজন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এদেরকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিল বুধবার শিশু সাকিবুল তার মাকে জানায় সে আজ স্কুলে যাবে না। এ কথা বলে সাকিবুল বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু রাত পর্যন্ত ছেলে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরেরদিন ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে সন্তানের খোঁজে সাকিবুলের পরিবার ছেলে হারানোর বিষয়টি মাইকিং করে জানান। এদিন সকাল আটটার দিকে লোকমুখে শুনতে পান যাদুকাটা নদীতে মাটির নিচে পুঁতে রাখা একটি শিশুর হাত-পা দেখা গেছে। এমন খবর পেয়ে সাকিবুলের পরিবার সেখানে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাকিবুলের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার দুদিন পর অজ্ঞাত আসামিদের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন হারুন মিয়া।
সিলেটের ৩ উপজেলার ফল প্রকাশ, রহস্যজনকভাবে আটকে বিশ্বনাথ
সিলেটে সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ উপজেলার ফলাফল মিললেও এক প্রিজাইডিং অফিসারের রহস্যজনক আটকে আছে বিশ্বনাথ উপজেলা ফলাফল। বুধবার (৮ মে) রাতে স্ব স্ব উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, দ্বিগুণ ভোট পেয়ে  সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে  সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন। ৬২ টি ভোট কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুল ইসলাম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬৩ ভোট। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এলিমের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে লড়েছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায় দোয়াত-কলম ৩৭ হাজার ৭৮৯, আনারস ২৯ হাজার ১৭ ও ঘোড়া প্রতীক পেয়েছে ১৫ হাজার ৪১৩ ভোট। সিলেট দক্ষিন সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম টেলিফোন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।  উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদ (মোটরসাইকেল)। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ (ঘোড়া)। জানা গেছে, বদরুল ২১ হাজার ৭৬৮, শামীম ১৩ হাজার ৯৮৮ ও জুয়েল ১২ হাজার ৩০৭টি ভোট পেয়েছেন।  অন্যদিকে, বুধবার দিবাগত মধ্যরাত (১২টা) পর্যন্ত চূড়ান্ত বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে পারেননি সহকারী রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। জানা গেছে, রাত ৯টার ভেতরেই উপজেলার ৭৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৫টির ফলাফল মিলে যায়। কিন্তু এসময় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে  খাজাঞ্চি ইউনিয়নের নোয়ারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইটিং অফিসার মো. বিল্লাহ হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেন। অভিযোগপত্রে তারা উল্লেখ করেন- নোয়ারাই কেন্দ্রে ভোগ গণনা শেষে প্রিজাইটিং অফিসার তড়িঘড়ি করে ফলাফলের কাগজ কোনো এজেন্টের স্বাক্ষর না নিয়ে চলে আসেন। কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্তও তিনি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় না পৌঁছালে কর্মকর্তা তাকে পুলিশ পাঠিয়ে নিজ বাসা থেকে ডেকে আনেন। আসার পর তিনি নোয়ারাই কেন্দ্রের রিজাল্ট শিট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে দিলে দেখা যায়- এতে কোনো এজেন্টের স্বাক্ষর নেই। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, কাগজে ভোটের সংখ্যা এবং গণনা শেষে কেন্দ্রে ঘোষণার সংখ্যার মধ্যে তারতম্য রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ে তিনি সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নিয়ে সমাধানের জন্য আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে।  এদিকে, ৭৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৫টির পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী- জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদ আনারস প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে।  
সুনামগঞ্জে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১০
সুনামগঞ্জের শাল্লায় চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে ঘোড়া ও আনারস মার্কার দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) সকালে উপজেলার ৪নং ইউনিয়নের চব্বিশা গ্রামের ওই কেন্দ্রের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, সকাল ৮টায় শাল্লা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী অবনী মোহন দাস ও আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী গনেন্দ্র চন্দ্র সরকারের সমর্থকরা কেন্দ্রে আসা ভোটারদের নানাভাবে তাদের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। তারই জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানার ওসি মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। কেন্দ্রের সামনে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।