ফারমার্স ব্যাংকে কার স্বার্থে জলবায়ু তহবিলের টাকা?
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল গঠন করেছে। যা এরই মধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে।
তবে তহবিলটি পরিচালনায় প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল (বিসিসিটিএফ) এর ৫০৮ কোটি টাকাসহ বিভিন্ন গ্রাহকের আমানতের অর্থ ফেরত দিতে পারছে না ফারমার্স ব্যাংক। তুলনামূলকভাবে সুখ্যাতিসম্পন্ন ও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠানে জমা না করে কোন যুক্তিতে, কার স্বার্থে ফারমার্স ব্যাংকে অধিক মুনাফার নামে জলবায়ু তহবিলের মূলধনের প্রায় অর্ধেক অর্থই বিনিয়োগ করা হয়েছিল?
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ফারমার্স ব্যাংকে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের গচ্ছিত আমানতের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরও চাহিদা অনুযায়ী ফেরত প্রদান করতে পারছে না। এই ব্যর্থতার ঘটনা শুধু উদ্বেগজনকই নয়, পুরো ব্যাংকিং খাতের জন্য এক অশনিসংকেত।
তিনি বলেন, জলবায়ু তহবিলের ৫০৮ কোটি টাকা পুনরুদ্ধারে সরকার, বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি।
তহবিলটি পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি।
তারল্য সংকটের প্রেক্ষিতে ফারমার্স ব্যাংকের প্রতি আস্থা হারিয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন গ্রাহক ও প্রতিষ্ঠান তাদের আমানতের বিপরীতে প্রাপ্য অর্থ ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঋণ জালিয়াতিসহ ব্যাংকটির লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির বোঝা গ্রাহকদের কাঁধে চাপিয়ে দেয়া কোনোভাবেই যুক্তিসংগত ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
আমানতের বিপরীতে প্রাপ্য অর্থ গ্রাহকদের ফেরত প্রদানসহ ব্যাংকটির ঋণ জালিয়াতি ও অন্যান্য অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এসআর
আরও পড়ুন-
আরও পড়ুন-
- সেফটি নেট কর্মসূচিতে বিশ্বব্যাংকের আরো সাড়ে ২৪ কোটি ডলার
- বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় মালয়েশিয়া
- গরুর মাংস আমদানি হবে না
মন্তব্য করুন