আমেরিকার চেয়ে গতি বেশি ইউরোপের
আমেরিকার অর্থনীতি বাড়ছে। এ কথা ঠিক। তবে তার চেয়েও বেশি গতিতে সম্প্রসারণ হচ্ছে ইউরোপের অর্থনীতি।
ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করে- ১৯টি দেশের অর্থনীতি বলছে, ২০১৭ সালে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
সম্প্রতি ইউরো অঞ্চলের প্রসাশনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ওই বছরে ২৮ দেশটি দেশ নিয়ে গঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর প্রবৃদ্ধিও একই হারে বেড়েছে।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হচ্ছে, ২০০৭ সালের পর এটাই আমেরিকা ও ইউরোপের সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স। তবে আমেরিকার চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে ইউরোপ। গেলো বছরে আমেরিকার প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ।
দফায় দফায় ঋণের ভারে গেলো কয়েকবছর ইউরোপের অর্থনীতি হালকা নুয়ে পড়ে। কিন্তু আজ সেখান থেকে ইউরোপ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরেও উন্নতির এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
মুদ্রা বিনিময়কারী প্রতিষ্ঠান ইনফিনক্স ক্যাপিটালের ট্রেডিং প্রধান জ্যাকব দ্বিপে বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আমেরিকার থেকে ইউরো অঞ্চল এখন আর পিছিনে নেই, বরং তাদের থেকে এগিয়ে।
সিএনএন বলছে, ইউরোপের এই অর্থনৈতিক চিত্র ইউরোকে শক্তিশালী করেছে। গেলো মাসে ১ দশমিক ২৫ ডলারে লেনদেন হয়েছে এক ইউরো। ২০১৭ সালের শুরু থেকে যা ২১ শতাংশ বেশি।
তবে ইউরোপের অর্থনীতির সব সূচকই একসঙ্গে বেড়েছে এমন নয়। কিছু কিছু সূচকে নেতিবাচক প্রবণতা এখনো বজায় আছে।
যেমন বেকারত্বের হার কমেছে। তবে যে হারে চাকরি খোঁজা মানুষ বাড়ছে- সে হারে কমেনি। ইউরো অঞ্চলের কিছু দেশে এই প্রবণতা রয়ে গেছে।
জাতীয় পরিসংখ্যান অ্যাজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, গেল বছর ফ্রান্সের অর্থনীতি বেড়েছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ হারে। এর আগের বছরে যা ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ।
২০১৭ সালে পোল্যান্ডের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। আগের বছর যা ছিল ২ দশমিক ৮ শতাংশ।
এসআর/এ
মন্তব্য করুন