অস্থির বিশ্ব পুঁজিবাজার
বিশ্ব পুঁজিবাজারে এখন অস্থিরতা বিরাজ করছে। আমেরিকা কী ঘটাতে যাচ্ছে- সে আতঙ্কে নিউ ইয়র্ক, টোকিও, লন্ডনের বাজার ধুঁকছে। দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ আতঙ্কে অবস্থান করছে বিনিয়োগকারীরা।
বার্তা সংস্থা সিএনএন বলছে, বিশ্বের প্রধান প্রধান বাজারের বড় সূচকগুলো এখন নেতিবাচক ধারায় অবস্থান করছে।
এটা আসলে সম্প্রতি বাজারে যে উল্লম্ফন ভাব ছিল তার সংশোধন কিনা- সে ব্যাপারে কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছেন অর্থ বিশ্লেষকেরা।
কী ঘটছে?
মঙ্গলবার এশিয়া ও ইউরোপের বাজারগুলোতে নিম্নমুখী ভাব দেখা যায়। জাপানের নিক্কেই সূচক এদিন ৪ দশমিক ৭ শতাংশ পতন হয়েছে। হংকং ও লন্ডনের বাজারে প্রধান সূচক পড়েছে যথাক্রমে ৫ ও ৩ শতাংশ হারে।
মার্কিন বাজারে সোমবার বড় ধরনের পতন হওয়ার পর আজ ইউরোপ ও এশিয়ার বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে দেখা যায়।
সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার আমেরিকার বাজারে ডাউ জোনস সূচক ১ হাজার ১৭৫ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৬ শতাংশ পতন হয়। এটি আমেরিকার ইতিহাসে একদিনে সবচেয়ে বড়পতন।
মঙ্গলবার এ বাজারে ডাউ জোনসে আরও এক দফা ধাক্কা লাগতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুঁজিবাজার কেন হঠাৎ অস্থির?
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: 'ট্যুরিজম সিটি হিসেবে স্বীকৃতি পাবে ঢাকা'
--------------------------------------------------------
আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ দ্রুত সুদহার বাড়াতে যাচ্ছে। গত শুক্রবার শ্রমবাজারে ইতিবাচক হাওয়া তা আরো স্পষ্ট করেছে। যা মূল্যস্ফীতি বাড়ানোরও ইঙ্গিত দিচ্ছে। সুদহার বাড়ানোর এ সম্ভাবনায় পুঁজিবাজার অস্থির হচ্ছে।
যখন সুদহার টানা বাড়ানো হয়, তখন পুঁজিবাজারে প্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সুদহার বাড়ানো এবং মূল্যস্ফীতি বন্ড মার্কেটেও হৈ চৈ ফেলে দেয়।
গত কয়েকমাস ধরে বিশ্ব পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেট ষাঁড়ের গতিতে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বার বার এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। তবে কেউ কেউ বলছেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারে যে নেতিবাচক ধারা দেখা যাচ্ছে তা আতঙ্কের কিছু নয়। এটা বাজারে সংশোধন। এটা ইতিবাচক।
বাজার বিশ্লেষক স্কট মাইনার্ড বলেন, এই সংশোধনী দীর্ঘ মেয়াদে বাজারের জন্য ভালো খবর। এতে বাজার ভেঙ্গে পড়বে না।
আরও পড়ুন:
এসআর/সি
মন্তব্য করুন