বিক্রেতাবিহীন ভবিষ্যতের বাজার কি বাড়বে?
ধরুন কিছু কিনতে দোকানে ঢুকলেন। দাম পরিশোধের ঝামেলা ছাড়াই পণ্যটি নিয়ে বেরিয়ে এলেন। ক্যাশিয়ার কিংবা বিক্রয় কর্মীবিহীন এমন শপিংয়ের ধারণাটি এখন আর কল্পনা নয়। যা গেলো মাসেই দেখিয়ে দিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন।
পণ্য কেনাকাটার জন্য যেখানে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না ক্রেতাকে, থাকবে না নগদ অর্থ পরিশোধেরে ব্যবস্থাও।
ওয়াশিংটনের সিয়াটলে অ্যামাজন গো নামের এই স্মার্ট স্টোরের বিপণন চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘ এক বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই ব্যবস্থা চালু করা হয়। যেটির নাম দেয়া হয় ‘ভবিষ্যতের বাজার’।
এই প্রক্রিয়ায় বাজার করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে অ্যামাজন গো নামের অ্যাপটি ইনস্টল করে নিতে হবে। এরপর লগ-ইন করে আপনি কোন মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করতে চান সেটা বেছে নিতে হবে।
এরপর স্টোরে ঢুকে শুধু পণ্য উঠিয়ে নিলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ভার্চুয়াল শপিং চার্টে জমা হয়ে যাবে। আবার পণ্যটি তাকে ফেরত রাখলে শপিং চার্ট থেকে মুছে যাবে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: চার কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা
--------------------------------------------------------
এরপর স্টোর থেকে বেরিয়ে যাবার পর তার দাম অ্যাপে যুক্ত ক্রেডিড বা ডেবিট কার্ড থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেয়া হবে। পুরো বিষয়টি পরিচালনা করবে অ্যামাজনের ক্যামেরা ও সেনসর।
ভাবছেন, তাহলে তো ভালোই হলো। ক্রেতারা এখন আরও সহজে পণ্য কিনতে পারবেন। না, তেমনটা ভাবছে না অ্যামাজন। গত মাসে যখন এটি চালু করা হয়, তখনই আশঙ্কা তৈরি হয়- অ্যামাজন যদি তাদের অন্য স্টোরগুলোতেও এই ধারণা প্রয়োগ করে, তবে অনেকেই চাকরি হারাবে।
প্রতিষ্ঠানটির বরাত দিয়ে সিপিএক্সিকিউটিভ নামে একটি অনলাইন বলছে, নিকট ভবিষ্যতে এ ধরনের স্টোর বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। কারণ অ্যামাজন গোর জন্যও কিছু কর্মী রাখতে হয়, যারা তাকের উপর পণ্যগুলো সাজিয়ে রাখেন, ক্রেতাদের সহায়তা দেন। তাই এটা মানুষের চাকরি খাওয়ার জন্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন:
এসআর/এ
মন্তব্য করুন