বসন্তে ভালোবাসায় ৪০ কোটি টাকার স্বপ্ন
বিবর্ণ শীত পার হচ্ছে। আগামীকাল বসন্ত মনে ফাগুনের হাওয়া। পরদিন ভালোবাসা দিবস। এ দুটি দিবসকে সামনে ঘিরে তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুলের রাজধানী বলে খ্যাত যশোরের গদখালীর চাষীরা। বসন্তে ভালোবাসায় সুবাস ছড়িয়ে দিতে চান তারা।
প্রতি বছরে মোট ৭টি উৎসব ঘিরে মূল বেচাকেনা করে থাকেন তারা। উৎসবগুলোর মধ্যে ইংরেজি নববর্ষের বেচা শেষ করেছেন তারা। এ মাসেই বড় তিনটি উৎসব- বসন্ত, ভালোবাসা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মৌসুমের অন্যতম এ তিনটি উৎসবের বাজার ধরতে এখন প্রস্তুত ফুলচাষিরা।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ১৪ হাজার মেগাওয়াটের ৪৫টি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন
--------------------------------------------------------
আশা করছেন এ বছর ফুলের ভালো দাম পাবেন তারা। প্রায় ৪০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা তাদের।
তাই নানা পদ্ধতিতে মাঠে পর্যাপ্ত ফুল সংরক্ষণ করছেন তারা।
ফুলচাষিরা বলছেন, অনুষ্ঠানের বেশি আগে যাতে ফুল না ফোটে, সেজন্য ক্ষেতে সেচ ও সার দেয়া বন্ধ করা হয়েছে। এজন্য গোলাপ ফুলে এক ধরনের ক্যাপ পরানো হয়েছে।
এখন অনেক ফুলের চাপ বলেও জানান ব্যবসায়িরা। তবে বাজারে অল্প অল্প করে বিক্রি হচ্ছে। যাতে অনুষ্ঠানের মুহূর্তে বেশি ফুল তোলা যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর বাজারের অবস্থা খুব ভালো। উৎসবের আগ মুহূর্তে ফুলের দাম আরো বাড়বে।
তারা বলছেন, যে গোলাপের পিস সাধারণত ৫ থেকে ৬ টাকা বিক্রি হয়, ভালোবাসা দিবসের দিনে তা ১৪ থেকে ১৫ টাকা বা তারও বেশি বিক্রি করা যায়।
আশা করা হচ্ছে, এবার চাষিরা লাভবান হবেন।
ফুল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি, যশোরের সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, এবার তিন দিবসকে ঘিরে প্রায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে।
তার দেয়া তথ্য মতে, গদখালীর ৪০ শতাংশ ফুল ঢাকা ও চট্টগ্রাম এবং ৬০ শতাংশ ফুল চালানের মাধ্যমে পাইকারি দামে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ছোট-বড় বাজারে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৬ হাজার কৃষক বাণিজ্যিকভাবে প্রায় ১১ ধরনের ফুল চাষ করছেন।
যশোর শহর থেকে পশ্চিমে ২০ কিলোমিটার গেলে ঝিকরগাছার গদখালী বাজার। ফুলের সাম্রাজ্য হিসেবেই এ এলাকার পরিচিতি রয়েছে সারা দেশে। দেশের ফুলের চাহিদার বড় অংশই জোগান দেন এখানকার চাষিরা।
ফুলচাষি হাফিজা খাতুন হ্যাপি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে যে ফুল বেচাকেনা হয় তার অন্তত ৭০ শতাংশই যশোরে উৎপাদিত ফুল। তবে এবারের ভালোবাসা দিবসে ফুলের যেমন উৎপাদন বেশি, তেমনি এর চাহিদা অন্য যেকোনো বারের তুলনায় বেশি। তাই শহর-নগরের ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা ফুলের অর্ডার নিচ্ছি।
ফুলচাষি ইসমাঈল হোসেন বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ডার পাচ্ছি। তাদের চাহিদা মতো ফুল সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত আছি। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন:
এসআর
মন্তব্য করুন