বাজারে আসছে ইলিশের নুডলস-স্যুপ
কথায় আছে ইলিশ মাছে ত্রিশ কাঁটা। খেতে ভয় পায় শিশুরা। এমনকি সুস্বাদু হওয়া সত্ত্বেও বয়ষ্কদের অনেকেই এটি এড়িয়ে যান। ফলে জাতীয় মাছ ইলিশের স্বাদ আর মেটানো হয় না অনেকের। এ ধরনের চিন্তা থেকে বাজারে আসছে ইলিশের স্যুপ। এই স্বাদ পাওয়া যাবে নুডলসেও।
বলছিলেন মাছ প্রকিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান ভার্গো ফিস ও অ্যাগ্রো প্রোসেসের অপারেশন ম্যানেজার হায়দার ইমাম চৌধুরী।
তিনি আরটিভি অনলাইনকে জানান, আগামী দুই-এক মাসেই নতুন এই পণ্যটি বাজারে পাওয়া যাবে। এ নিয়ে কাজ করছেন তারা। সাশ্রয়ী মূল্যে এই খাদ্যপণ্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাজারজাত করা হবে। বিদেশি প্রযুক্তিতে প্রস্তুত এই নুডলসের পুষ্টিমান হবে অনেক বেশি। এটি শিশুখাদ্য হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে বলে পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।
হায়দার ইমাম চৌধুরী বলেন, ইলিশ মাছকে প্রক্রিয়াজাত করে এর মূল্যমান বৃদ্ধি করতে দীর্ঘদিন ধরে তাদের গবেষকরা গবেষণা করছেন। এ প্রক্রিয়ায় ইলিশ থেকে এক ধরনের পাউডার তৈরি করে তা থেকে স্যুপ বানানো হবে। নুডলসের সঙ্গেও এর স্বাদ পাওয়া যাবে।
ভার্গো ফিস সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের স্যুপ তৈরির এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক এ কে এম নওশাদ আলম।
তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, গত বছরের আগস্টে এই প্রযুক্তির উদ্ভাবন করা হয়। এরপর গবেষকরা স্যুপের মান বাড়ানোর উপর কাজ করছেন।
এই গবেষক বলেন, পুষ্টিমান না হারিয়ে কীভাবে স্যুপ ও নুডলসে স্বাদ ইনট্যাক্ট রাখা যায়, তা নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।
হায়দার ইমাম চৌধুরী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আজ রেসিপিটি জমা দেয়া হবে। সেখানেই কীভাবে এটি প্রক্রিজাতকরণ করা হবে তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বেও অনেকে বাড়তি দামের কারণে এই মাছ কিনে খেতে পারেন না। তাছাড়া দেশের সব জায়গায় সমানভাবে এই মাছ পাওয়া যায় না। এসব মাথায় রেখেই নতুন উদ্যোগ হাতে নেয় সরকার। সরকারের তত্ত্বাবধানে বাজারে এই স্যুপ আসবে।
এই পণ্য বাজারে আসার পর চাইলেই সবাই ইলিশের স্বাদ নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
এসআর/পি
মন্তব্য করুন