ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে
দেশের নাগরিকরা এবার ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্টের সুবিধা নিতে পারবেন। নাগরিকদের হাতে এই পাসপোর্ট তুলে দিতে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রকল্পটি এ বছরই বাস্তবায়ন শুরু করে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে শেষ করবে।
----------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : চীন থেকে জেট ট্রেইনার বিমান কিনছে বাংলাদেশ
----------------------------------------------------------------------
নতুন এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। পুরোপুরি সরকারি অর্থায়নেই এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
আজকের বেঠকে মোট ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। যার বেশিরভাগই সরকারি অর্থায়ন থেকে আসবে।
ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের তথ্য মতে, বহির্বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সর্বশেষ উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন পাসপোর্ট ইস্যু, পাসপোর্টের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি এবং ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বাংলাদেশি নাগরিক ও আগত বিদেশি নাগরিকদের সুষ্ঠুভাবে গমনাগমন নিশ্চিত করতেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সরকার।
এই পাসপোর্ট বাস্তবায়ন হলে বিশ্বের যেকোনো স্থান হতে ওই পাসপোর্ট ধারীর নম্বর সার্চের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সব তথ্য পাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ই-পাসপোর্ট বাস্তবায়ন হলে বিদেশে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধি পাবে।
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) পদ্ধতি চালু করে।
কিন্তু এমআরপি ব্যবস্থায় দশ আঙ্গুলের ছাপ ডেটাবেজে সংরক্ষণ না থাকায় একাধিক পাসপোর্ট করার প্রবণতা ধরা পড়ে। এর ফলে ই-পাসপোর্টের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে অনুভব করে সরকার।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রবর্তনের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর জার্মানি সফরের সময় ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সে দেশের প্রতিষ্ঠান ভ্যারিডোস জিএমবিএইচ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ই-পাসপোর্ট চালুর বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পাসপোর্ট অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ই-পাসপোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন :
সমালোচনার পরও ফেসবুকের শেয়ারদর সর্বকালের সর্বোচ্চ
এসআর
মন্তব্য করুন