‘আমাকে দিয়ে এর কোনোটাই হবে না’
দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। দীর্ঘদিন চলচ্চিত্রে অভিনয় না করলেও জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। বিরতি ভেঙে আবারও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পূর্ণিমা। সেক্ষেত্রে সিনেমা হতে হবে তার মনের মতো। নতুন সিনেমায় গল্প এবং চরিত্র দুটোকেই গুরুত্ব দিতে চান এই নায়িকা। ক্যারিয়ার ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আরটিভি অনলাইনের মুখোমুখি হয়েছিলেন পূর্ণিমা। ‘হৃদয়ের কথা’ খ্যাত নায়িকার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এ এইচ মুরাদ। দুই কিস্তির সাক্ষাৎকারের শেষ কিস্তির আজ প্রকাশিত হলো।
আপনার সৌন্দর্য নিয়ে প্রশংসা করেন সবাই। সিনেমা ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দেশের সবচেয়ে সুন্দরী নায়িকা আপনি। এমন খেতাব তো আগেই পেয়েছেন। দীর্ঘ সময় অভিনয় দেখে দূরে ছিলেন। বিরতি কাটিয়ে টিভি নাটকে ফিরলেও নতুন কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যাচ্ছে না।
(হাসি) সৌন্দর্যর প্রশংসা আমিও উপভোগ করছি। আর সিনেমায় আসলে সেভাবে সুযোগ পাচ্ছি না! সেই সুযোগের অপেক্ষায় আছি। আমি চাইলেই ৫-৬টা সিনেমায় সাইন করে কাজ শুরু করতে পারি। তবে দীর্ঘ পাঁচ বছর আমি অভিনয়ের বাইরে ছিলাম। আমি ভালো ছবির মাধ্যমেই কামব্যাক করতে চাই। গতানুগতিক ধারার কাজ করতে চাইছি না। এখন যে কাজ করতে চাই, তাতে ধামাকা থাকতে হবে। আমার চরিত্রের গুরুত্ব থাকতে হবে।
খানিক চুপ থাকার পর আবার...
আর নতুনরূপে উপস্থাপনার মাধ্যমে হাজির হচ্ছি। টেলিভিশনটা আমার জন্য সহজ একটি মাধ্যম। আমি আগেও ছোটপর্দার কাজ করেছি। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে অনেকেই আমাকে চান। নাটক ও টেলিফিল্মে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কারণ সন্তান-সংসার সামলে এই কাজটা আমার জন্য সহজ।
ক্যারিয়ারে ২০ বছর অতিক্রম করেছেন। অভিজ্ঞতার পাল্লা বেশ ভারি। চলচ্চিত্রের সংকট নিয়ে আপনার বক্তব্য শুনতে চাই?
এখন চলচ্চিত্রে গ্রুপিং বেড়ে গেছে, শিল্পীদের সংখ্যা কমে গেছে। সিনিয়র পরিচালক-প্রযোজক কমে গেছে। নতুনভাবে শিল্পী তৈরি হচ্ছে না। এছাড়া যৌথ প্রযোজনার একটা প্রতিবন্ধকটা তো আছেই। এর ফলে আমাদের দেশের শিল্পীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদেরকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। বিদেশি শিল্পীদের বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি হলে সিনেমা হিট করছে না, এটাও ভাবনার বিষয়। পরিচালক-শিল্পী ও লোকেশন সব মিলে আমরা অন্য এক জায়গায় আছি।
মৌসুমী-শাবনূর-পূর্ণিমার পর আর কোনো নায়িকা নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি। জুটি প্রথাও এখন অনেকটা বিলীন। কারণ কী?
শিল্পীর সংকট তো আছেই। সেইসঙ্গে পরিচালকরা হয়তো সাহস করে সেভাবে সিনেমা বানাচ্ছেন না। জুটি তৈরি করতে হলে তো সে ধরনের গল্প ও নির্মাণ লাগবে। কোনো কারণে হয়তো শিল্পীরা নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না। আবার কোনো ক্ষেত্রে পরিচালকরা শিল্পীদের তুলে ধরতে পারছে না। সিনেমা বানাতে গিয়ে হয়তো টেলিফিল্ম হয়ে যাচ্ছে। আর সিনেমা যখন হিট হচ্ছে না তখন কিন্তু প্রযোজকরাও নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন। এই সংকটগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে।
কিছু তারকা এখন রেস্টুরেন্ট-ফ্যাশন হাউজের ব্যবসায় জড়িয়েছেন। আপনার সেধরনের কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
আপাতত এমন কোনো পরিকল্পনা নাই। এখন উপস্থাপনা করছি। এটা নিয়েই থাকতে চাই।
ভবিষ্যতে পরিচালনা বা প্রযোজনায় আসার ইচ্ছে আছে?
এই দুটোই অনেক কঠিন কাজ। আমাকে দিয়ে এর কোনোটাই হবে না।
আরও পড়ুন:
এম/পিআর
মন্তব্য করুন