ইত্যাদি’র সেই আলী আকবর রুপু
সুরের মূর্ছণায় মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন আলী আকবর রুপু। প্রায় ২৫ বছর ধরে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। ইত্যাদি’র মাধ্যমেই পেয়েছেন তারকাখ্যাতি।
দেশের তিনটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের উদ্বোধনী সঙ্গীতও তৈরি করেছেন তিনি। গানগুলো হলো একুশে টিভির ‘নব শতকের সম্ভাবনার দিনে’, এনটিভির ‘বাংলাদেশর বিজয়ের আলো জ্বেলে’ আর এটিএন বাংলার ‘দিনরাত এটিএন এশিয়া ইউরোপে’।
সঙ্গীতাঙ্গনে রুপুর বিচরণ আশির দশকে। ১৯৮২ সালের দিকে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডে কিছুদিন গিটার ও কি-বোর্ড বাজিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে উচ্চারণ ছেড়ে দেন। তারপর ‘উইন্ডস’ নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেছিলেন।
শুরুর দিকে গিটারিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করলেও সঙ্গীতাঙ্গনে সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। আলী আকবর রুপুর সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় অসংখ্য গান জনপ্রিয় হয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- যারে ঘর দিলা সংসার দিলা রে, দস্যু যেমন মুখোশ পরে প্রবেশ করে ঘরে, দরদিয়া, এ অনিশ্চয়তা, পশলা বৃষ্টি’, পদ্মপাতার পানি নয়, তোমাকে দেখলেই মৌনতা ভুলে যাই, সব চাওয়া কাছে পাওয়া, প্রতিটি শিশুর মুখ, কবিতার মতো মেয়েটি গল্পের মতো ছেলেটি, জানতে চেয়ো না কোন সে বেদনাতে, পুরোনো কাপড়ের মতো আমি আজ অবহেলিত, বারে বারে পোড়া বাঁশি এত রাতে আর ডেকো না।
বরেণ্য সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলী আকবর রুপু আজ বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আলী আকবর রুপুর ছেলে আলী আফজাল সিবনী আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গুলশানের আজাদ মসজিদে হবে প্রথম জানাজা। এরপর সঙ্গীতাঙ্গনের সবার শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ আনা হবে শ্রুতি রেকর্ডিং স্টুডিওতে।
তিনি আরও বলেন, ‘মগবাজার ওয়্যারলেসের ডাক্তারের গলি মসজিদে বাদ এশা দ্বিতীয় জানাজার পর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
আরও পড়ুন:
পিআর/এম
মন্তব্য করুন