চলচ্চিত্রে আইয়ুব বাচ্চু
আইয়ুব বাচ্চু। দেশীয় ব্যান্ড সঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী তিনি। তাঁর গান ও গিটারের সুরে মুগ্ধ হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ব্যান্ড সঙ্গীতকে তিনি এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
তাকে দেখেই হাজারো তরুণ ব্যান্ড গানের চর্চা করে চলেছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়। কলকাতার তরুণ শিল্পীরাও আইয়ুব বাচ্চুকে দেখেই ব্যান্ড সঙ্গীতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। সেখানে তুমুল জনপ্রিয়তা এই তারকা শিল্পীর।
অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে বহু সুপার হিট গান ও অ্যালবাম উপহার দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি চলচ্চিত্রের গানেও তাঁর পদচারণা ছিল। তবে সেটা খুব অল্প পরিসরে। অথচ চলচ্চিত্রে আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া বেশির ভাগ গানই হিট সুপার হিট হয়েছে।
এই শিল্পীর গাওয়া চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে ‘সাগরিকা’ ছবির ‘আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে’, ‘লুটতরাজ’ ছবির ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’, ‘আম্মাজান’ ছবির ‘আম্মাজান’, ‘স্বামী আর স্ত্রী’, ‘ব্যাচেলর’ ছবির ‘আমি তো প্রেমে পড়িনি প্রেম আমার উপরে পড়েছে’, ‘লাল বাদশা’ ছবির ‘আরো আগে কেনো তুমি এলে না’, ‘তেজী’ ছবিতে ‘এই জগত সংসারে তুমি এমনই একজন’, ‘তোমার আমার প্রেম এক জনমের নই’, ‘মেয়েরা মাস্তান’ ছবিতে ‘ঘড়ির কাঁটা থেমে থাক’, ‘চোরাবালি’ ছবিতে ‘ভুলে গেছি জুতোটার ফিতেটাও বাঁধতে’। এর মধ্যে ‘আম্মাজান’ গানটি বাংলা ছবির ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত।
এক নজরে আইয়ুব বাচ্চু
জন্ম: ১৬ আগস্ট ১৯৬২, চট্টগ্রাম
মৃত্যু: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ঢাকা
সঙ্গীত জীবন শুরু: ১৯৭৭
প্রথম গান: হারানো বিকেলের গল্প
ব্যান্ড: প্রথম ব্যান্ড ফিলিংস (১৯৭৮)। এরপর যোগ দেন সোলসে। ১৯৮০ থেকে পরবর্তী এক দশক এই ব্যান্ডে যুক্ত ছিলেন। সোলস ছাড়ার পর ১৯৯১ সালে নিজে গঠন করেন নতুন ব্যান্ড এলআরবি। প্রথমে এলআরবির পূর্ণ অর্থ ছিল লিটল রিভার ব্যান্ড।
পরে এই নাম বদলে করা হয় লাভ রানস ব্লাইন্ড।
প্রথম একক অ্যালবাম: রক্তগোলাপ (১৯৮৬)
এলআরবির প্রথম অ্যালবাম: এলআরবি (১৯৯২)
সঙ্গীত জীবন : ব্যান্ড অ্যালবাম
এলআরবি (১৯৯২), সুখ (১৯৯৩), তবুও (১৯৯৪), ঘুমন্ত শহরে (১৯৯৫), ফেরারী মন (১৯৯৬), স্বপ্ন (১৯৯৬), আমাদের বিস্ময় (১৯৯৮), মন চাইলে মন পাবে (২০০০), অচেনা জীবন (২০০৩), মনে আছে নাকি নেই, ২০০৫), স্পর্শ (২০০৮), যুদ্ধ (২০১২)।
একক অ্যালবাম : রক্তগোলাপ (১৯৮৬), ময়না (১৯৮৮), কষ্ট (১৯৯৫), সময় (১৯৯৮), একা (১৯৯৯), প্রেম তুমি কি! (২০০২), দুটি মন (২০০২), কাফেলা (২০০২), প্রেম প্রেমের মতো (২০০৩), পথের গান (২০০৪), ভাটির টানে মাটির গানে (২০০৬), জীবন (২০০৬), সাউন্ড অব সাইলেন্স (ইন্স্ট্রমেন্টাল, ২০০৭), রিমঝিম বৃষ্টি (২০০৮), বলিনি কখনো (২০০৯), জীবনের গল্প (২০১৫)।
এছাড়া অসংখ্য মিশ্র অ্যালবামে কাজ করেছেন। এর মধ্যে প্রিন্স মাহমুদের সুরে করা মিশ্র অ্যালবামগুলোতে তাঁর গান আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পায়।
আরও পড়ুন :
এম/পি
মন্তব্য করুন