জোটের কলেবর বাড়ানোর তৎপরতায় ক্ষমতাসীনরাও
নির্বাচনকে সামনে রেখে জোটের কলেবর বাড়ানোর তৎপরতা শুরু করেছে ক্ষমতাসীনরাও। কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে তাদের। তবে জোটের হিসেব-নিকেশ চূড়ান্ত হবে, বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়া না-নেয়ার ওপর। এমনটাই জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম।
আশির দশকে আন্দোলনভিত্তিক জোট গড়ে উঠলেও নব্বইয়ে এসে তা হয়ে যায় নির্বাচনকেন্দ্রিক। এমনই প্রেক্ষাপটে ২০০৪ সালে সিপিবি, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ সমমনা দলগুলোকে নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গঠন করে ১৪ দলীয় জোট।
পরবর্তীতে ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে জোটের আকার ছোট-বড় হতে থাকে। ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে মহাজোট গঠন করে আওয়ামী লীগ। তবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বদলে যায় জোটের হিসাব। বিএনপি অংশ না-নেয়ায় এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি।
নির্বাচন সামনে রেখে আবারো জোট বড় করা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীনরা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গেলো জুলাই মাসে সিপিবির নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। পরে এটাকে সৌজন্যমূলক বলে দাবি করলেও নানা আলোচনা শুরু হয় রাজনীতিক অঙ্গনে।
এর দু’দিন পরই সচিবালয়ে বৈঠক করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সঙ্গে। এছাড়াও কয়েকটি বাম রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে আওয়ামী লীগের।তবে ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম জানালেন, নীতি আর আদর্শের বাইরে গিয়ে কাউকে জোটে নেবে না আওয়ামী লীগ। তাই কলেবর বাড়ানোর কথা ভাবলেও, তা হবে নির্বাচনী জোট।
তিনি বলেন, জোটের ভবিষ্যৎ পুরোটাই নির্ভর করছে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়া না-নেয়ার ওপর। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটে আগ্রহী দলগুলোকে হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং থাকতে হবে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা।
এসজে/জেএইচ
মন্তব্য করুন