রঙচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কর-ঝক্কর বাস ৩০ সেপ্টেম্বরের পর আর নয়: বিআরটিএ
ফিটনেস নেই তবু রাজপথে আছে। চলার যোগ্য নয় তারপরও চলছে। রাজধানীতে চলাচলরত এরকম রঙচটা, জরাজীর্ণ, দৃষ্টিকটু যানবাহন চলছেই। তবে এই ফিটনেসবিহীন যানবাহনের প্রকৃত সংখ্যা কত জানা নেই বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির(বিআরটিএ)।
রোববার সকালে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রাস্তার মোড়ে দেখা গেলো সুপ্রভাত পরিবহনের একটি জীর্ণশীর্ণ বাস হঠাৎ নষ্ট হয়ে গেছে, আর চলছেই না। রাস্তার মাঝে হওয়ায় পেছনে ট্র্যাফিক জ্যাম শুরু হয়ে হয়েছে। ড্রাইভার-হেলপার খুব চেষ্টা করছেন কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছে না। রঙ চটে যাওয়া বাসটি বেশ বিধ্বস্তও দেখাচ্ছে। সেই বাস থেকে নেমে যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলেন। কেউ কেউ ঠেলে কোনোভাবে রাস্তার এক পাশে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছিলেন। রাজধানীতে এমন ঘটনা হরহামেশায় ঘটছে। বিশেষ করে লোকাল বাসগুলো রঙচটা, জরাজীর্ণ, ভাঙাচুরা এবং প্রচুর টেপ ও দাগ। কিন্তু এসব সংস্কারে নেই কোনও উদ্যোগ।
তবে রাজধানীর গণপরিবহনের সৌন্দর্য বর্ধনে সম্প্রতি জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিআরটিএ। এতে বলা হয়েছে- বিআরটিএ থেকে ফিটনেস গ্রহণের পরও অনেক গণপরিবহনকে রাজধানীতে রঙচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কর-ঝক্কর অবস্থায় চলাচল করতে দেখা গেছে। এই মোটরযানগুলোকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যথাযথভাবে ডেন্টিং-পেইন্টিং ও প্রয়োজনীয় মেরামত করে দৃষ্টিনন্দন করে সড়কে চলাচলের উপযোগী করতে হবে। অন্যথায় ওই নির্দিষ্ট সময়ের পর এমন যানবাহন রাজধানীতে চলাচল করতে দেখা গেলে সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সবশেষ সভায় এ বিষয়ে নির্দেশনার পরপরই এই জরুরি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়- গায়ে দাগ, রঙচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কর-ঝক্কর বাস রাজধানীর রাস্তায় চালানো যাবে না। এসময় বৈঠকে উপস্থিত পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা গণপরিবহনের সৌন্দর্য বর্ধনে কিছুদিনের সময় চান। তারই প্রেক্ষিতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় বলে আরটিভি অনলাইনকে জানান বিআরটিএ-এর পরিচালক নুরুল ইসলাম।
নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবহন মালিকরা গাড়ি সংস্কার না করলে কী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে পরিচালক নুরুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের পর আমরা রাস্তায় কোনও ফিটনেসবিহীন গাড়ি বা রঙচটা গাড়ি দেখতে পেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা, মামলা বা ডাম্পিং এর ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন :
আরসি/সি
মন্তব্য করুন