লুণ্ঠনমূলক বাণিজ্যিক চর্চা বরদাস্ত করবো না: ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘লুণ্ঠনমূলক’ বাণিজ্যিক চর্চাকে এক হাত নিয়েছেন। সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে তিনি বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের অন্যায় বাণিজ্য মেনে নেবে না। খবর বিবিসির।
তিনি বলেছেন, এ ধরনের চর্চা মার্কেট অস্থির করে তোলে এবং যুক্তরাষ্ট্র ‘আর চোখ বন্ধ করে রাখবে না’।
ট্রাম্প বলেন, বাণিজ্যের ব্যাপারে আমি যুক্তরাষ্ট্রকে সবসময়ই অগ্রাধিকার দেবো। কিন্তু ‘এর অর্থ এই নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র নিঃসঙ্গ’। তিনি আরও বলেন, আমেরিকা ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এ ধরনের বক্তব্য তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কেননা বৈশ্বিক এই সম্মেলনে বিশ্বায়ন ও সহযোগিতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়।
ওই সম্মেলনে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ক্ষমতার প্রথম বছরে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অর্জনের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, করপোরেশন কর কর্তন, বেকারত্বের হার কমিয়ে আনাসহ যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলা এগুলোর মধ্যে অন্যতম।
তিনি আরও বলেন, আমি এখানে খুব সাধারণ একটা বার্তা নিয়ে এসেছি। লোক নিয়োগ ও বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এখন সোনালী সময় চলছে। আমেরিকা এখন ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার এখন আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।
এদিকে ট্রাম্প যখন ডাভোসে এই ভাষণ দিচ্ছেন তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সর্বশেষ চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, গেলো বছরের শেষ তিন মাসে মার্কিন অর্থনীতির চাকা শ্লথ ছিল। তখন প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ২ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। ২০১৭ অর্থবছরে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। যেখানে ২০১৬ সালে ওই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে এই প্রবৃদ্ধি প্রেসিডেন্টের ৩ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম।
অন্যদিকে ট্রাম্পের এ ধরনের বক্তব্যে বিশ্ব সম্প্রদায় হতাশ হয়েছে। কারণ বিশ্ব নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিশ্বায়নের বার্তা প্রত্যাশা করলেও তাতে পানি ঢেলে দিয়ে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতেই অটল অবস্থান ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প।
এ/পি
মন্তব্য করুন