মুর্শিদাবাদে বাস নদীতে পড়ে নিহত ৭
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে অন্তত সাত জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বাসটি ৫৫ জন যাত্রী নিয়ে করিমপুর থেকে মালদহ যাচ্ছিল। সকাল সাতটা ১০ মিনিট নাগাদ, দৌলতাবাদে বালিরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে রেলিং ভেঙে সোনার রত্নাকর নদীতে পড়ে সম্পূর্ণ ডুবে যায় বাসটি।
এদিকে, দুর্ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পরে সরকারি উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:
- কাবুলে মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে হামলায় জঙ্গিসহ নিহত ১৫
- থাইল্যান্ডে ই-সিগারেট বহনে পর্যটকদম্পতিকে জরিমানা
এপি/পি
মন্তব্য করুন
ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত, বাঁচতে পারেনি কেউ
ব্রাজিলে যাত্রীবাহী একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ওই বিমানে থাকা সবাই নিহত হয়েছেন।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্রামাদো শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের পর্যটন এলাকা গ্রামাদোর একটি দোকানের ওপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় বিমানে ১০ যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় তারা সবাই নিহত হয়েছেন।
রিও গ্রান্ডে দো সুল গভর্নর এডওয়ার্ড লেট বলেন, দুর্ঘটনায় বিমানের মালিক ও পাইলটসহ আরও ৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই বিমানের মালিকের পরিবারের সদস্য ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯০ সালে তৈরি এ বিমানটি সকাল ৯টার কিছু সময় পর ক্যানেলা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে সাও পাওলো রাজ্যের জুনদিয়াইয়ের দিকে যাওয়ার পথে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। অ্যারোনটিক্যাল অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টার (সেনিপা) এরইমধ্যে এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে রয়টার্স ও বিবিসি জানিয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর দোকান ও এর আশপাশে থাকা অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর।
প্রসঙ্গত, রিও গ্রান্ডে দো সুল রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন শহর গ্রামাদো। চলতি বছরের শুরুর দিকে নজিরবিহীন এক বন্যার কবলে পড়েছিল এই শহরটি। এতে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। ধ্বংস হয়ে যায় শহরটির অনেক স্থাপনা। অর্থনৈতিক ক্ষতিও হয়।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি
আরটিভি/আইএম/এস
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর চিঠি নিয়ে যা জানাল ভারত
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো কূটনৈতিক নোট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারত।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকায় প্রত্যর্পণের বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পেয়েছে ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নয়াদিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করছি যে, আমরা আজ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছ থেকে প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিষয়ে একটি কূটনৈতিক নোট পেয়েছি। তবে এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’
এর আগে, সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, আমরা ভারতকে জানিয়েছি। তাকে যে বিচার প্রক্রিয়ার জন্য ফেরত চাওয়া হচ্ছে সেটা জানিয়েছি। কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে এটা জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কোন উপায়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ভারতের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী হবে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। এই ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।
আরটিভি/এফএ-টি
আফগানিস্তানে পাকিস্তানের মুহুর্মুহু বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত অন্তত ১৫
আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে সন্ত্রাসীদের আস্তানা লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই এবং আফগান সংবাদমাধ্যম খামা প্রেস পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলাযর লামানসহ সাতটি গ্রামকে লক্ষ্য করে মঙ্গলবার রাতে দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। এই হামলায় একটি পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে। বারমালের মুর্গ বাজার গ্রামটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, পাক বাহিনীর বিমান হামলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে ও বেসামরিক মানুষ গুরুতর ভাবে হতাহত হয়েছে। এই হামলা এই অঞ্চলে চলমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
খামা প্রেস জানিয়েছে, হামলার পর উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করতে এবং হামলার দায় স্পষ্ট করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন।
এদিকে পাকিস্তানের এ হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আফগান এই মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের ভূখণ্ড এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা তাদের বৈধ অধিকার। একইসঙ্গে তারা এই হামলার নিন্দা করেছে।
অন্যদিকে পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত না করেনি। তবে দেশটির সামরিক বাহিনীর সূত্রগুলো জানিয়েছে, সীমান্তের কাছে তালেবানদের আস্তানাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি
ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সুখবর
ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সুখবর দিয়েছে সৌদি আরব। এখন থেকে ওমরা পালনকারীরা বিনামূল্যে লাগেজ সংরক্ষণ করতে পারবেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সৌদির দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী, গ্র্যান্ড মসজিদের পূর্ব দিকে মক্কা লাইব্রেরির কাছে এবং পশ্চিম দিকে গেট ৬৪-এর কাছে বিনামূল্যে লাগেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, একজন ওমরাহ পালনকারী সর্বোচ্চ চার ঘণ্টার জন্য সাত কেজি ওজনের ব্যাগ রাখতে পারবেন। তবে ব্যাগের বাইরে কিছু রাখা যাবে না। এ ছাড়া মূল্যবান ও নিষিদ্ধ জিনিসপত্র, খাবার ও ওষুধ রাখা যাবে না। ব্যাগ জমা দিয়ে টিকিট নিতে হবে ও টিকিট দেখিয়ে পরে ব্যাগ ফেরত নিতে হবে।
ওমরা পালনকারীরা সৌদি আরব সরকার অনুমোদিত ডিজিটাল হজ সেবা গেটওয়ে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে পারমিট দেখিয়ে এই সুবিধা নিতে পারবেন। মক্কার পবিত্র দুই মসজিদে প্রবেশ করতে হলে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে ওমরা পালনের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে এই সুবিধা নিতে পারবেন ওমরাহ পালনকারীরা। এ ছাড়া কাবা শরিফের আশপাশের সব এলাকায় এই সেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আরটিভি/এফএ/এস
ইন্টারপোলের লাল তালিকায় ৬৩ বাংলাদেশি
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল) বিশ্বের ৬ হাজার ৬৫৮ জনের নামের লাল তালিকা প্রকাশ করছে। এই তালিকায় ৬৩ জন বাংলাদেশির নাম নয়েছে। তবে এই তালিকায় নেই বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম। যদিও সম্প্রতি ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ওয়েবসাইটে রেড নোটিশ জারি’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক পুলিশি সংস্থাটির ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকা থেকে জানা গেছে, এই ৬৩ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ তাদের খুঁজছে। যৌন নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম ও অস্ত্র মামলায় ফজলুল আমীন জাভেদকে খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র। খুনের অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের খোরশেদ আলমকে খুঁজছে ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম। আফ্রিকার দেশ ইসতাওয়ানি খুনের অভিযোগে খুঁজছে ঢাকার মো. মিলন ও লিটন ব্যাপারীকে। খুনের অভিযোগে নোয়াখালীর মিজান মিয়াকে খুঁজছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চাঁদুপর সদরের রাজু ঢালীকে খুনের অভিযোগের মামলায় খুঁজছে সিঙ্গাপুর। মুদ্রা জালিয়াতির অভিযোগে খুলনার আজিজুর রহমান, অজয়বিশ্বাস ও তরিকুল ইসলাম, নোয়াখালীর সবুজ, গোপালগঞ্জের আব্দুল আলীম শরীফ, নারায়ণগঞ্জের মনির ভুইয়া, চাপাইনবাবগঞ্জের শফিকুলকে খুঁজছে ভারত। চোরাচালানির অভিযোগে নাটোরের সিরাজ মোস্তফাকে এবং খুনের অভিযোগে ফেনীর আলা উদ্দিনকে খুঁজছে মালয়েশিয়া। তছরুপের অভিযোগে হানিফকে খুঁজকে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ।
এদিকে হত্যার অভিযোগের মামলায় গাজীপুরের নুরুল ও মজনু, কুমিল্লার খন্দকার আব্দুর রশীদ ও রাশেদ চৌধুরী, ঢাকার নুর চৌধুরী, নবী হোসাইন, তানভীর ইসলাম জয়, বাগেরহাটের রবিউল ইসলাম, টাঙ্গাইলের মোহাম্মদ তাজউদ্দীন ও বাবু আহমেদ রাতুল, চট্টগ্রামের ইউসুফ ও সাজ্জাদ হোসেন, ফরিদপুরের নাইম খান, নাজমুল আনসার, শরীফুল হক ডালিম, খুলনার শরীফুল হোসাইন, বগুড়ার কালা জাহাঙ্গীর, জিসান আহমেদ, তৌফিক আলম, প্রকাশ কুমার, জাফর আহমেদ, সালাউদ্দিন মিন্টু, চট্টগ্রামের আমিনুর রসুল,নেত্রকোনার আব্দুল জাব্বার, বরিশালের গোলাম ফারুক অভি, সুব্রত বাইন, মুন্সীগঞ্জের রফিকুল ইসলাম, খুলনার হারুন শেখ ও সুলতান, নরসিংদীর মোসলেম উদ্দিন খান এবং খুনসহ বিভিন্ন অভিযোগে গাইবান্ধার চন্দন কুমার রায়, জাহিদ হোসেন খোকন, সৈয়দ মো. হাছান আলী, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল জব্বার ও সৈয়দ মো. হোসেনকে খুঁজছে ঢাকা।
এ ছাড়া মানবপাচারের অভিযোগে খুঁজছে কিশোরগঞ্জের জাফর ইকবাল, স্বপন, মিন্টু মিয়া ও তানজীরুল, মাদারীপুরের মোল্লা নজরুল ইসলাম। পর্নোগাফির অভিযোগে টাঙ্গাইলের ওয়াসিম, অস্ত্র মামলায় গিয়াস উদ্দিন, নির্যাতনের মামলায় চট্টগ্রামের অশোক কুমার দাশ, জালিয়াতির অভিযোগে জামালপুরের আমানুল্লাহ এবং আতাউর রহমানকে খুঁজছে বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত, ১৯২৩ সালে ইন্টারপোল প্রতিষ্ঠিত। পুলিশি সংস্থাটির সদস্য বিশ্বের ১৯৬টি দেশ। ইন্টারপোল বিশ্বকে নিরাপদ রাখতে পুলিশ এবং অপরাধ বিশেষজ্ঞদের একটি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত ও সমন্বয় করে। একটি দেশের আসামি অপরাধ করে আরেক দেশে চলে গেলে সেই আসামিকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা লাগে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশকে সন্দেহভাজন অপরাধীর যাবতীয় তথ্য দিয়ে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোল সদর দপ্তরে আবেদন করতে হয়। আবেদনের পর ওই অভিযুক্তের অপরাধ বিষয়ক যাবতীয় কাগজপত্র, মামলার অনুলিপি ইত্যাদি সংগ্রহ করে সংস্থাটির কাছে জমা দিতে হয়। সেই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে সংস্থাটি।
আরটিভি/এসএপি
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে নতুন তথ্য জানাল ভারতীয় গণমাধ্যম
ভারতের কাছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর অনুরোধটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ফলে অনুরোধটি কার্যকর না হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে (প্রত্যর্পণ) ভারতের কাছে করা অনুরোধটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-দিল্লির মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির উল্লেখিত শর্তের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, ভারত তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদের কাউকেও ত্যাগ করবে না, কারণ দিল্লি নিজেদের ভূরাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় রাখে। শেখ হাসিনা এমন একজন সরকারপ্রধান ছিলেন, যিনি ভারতের জাতীয় স্বার্থ প্রাধান্য দিয়েছিলেন, চরমপন্থীদের দমন করেছেন এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়িয়েছেন। এখন তাকে ফিরিয়ে দিলে ভারতের প্রতিবেশী মিত্রদের কাছে ভুল বার্তা যাবে। অন্যদিকে, ঢাকা-দিল্লির প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ‘রাজনৈতিক প্রকৃতির’ যে কোনো অনুরোধ কার্যকর করা যায় না।
ধর্মীয়গুরু দালাই লামাও’র উদাহরণ টেনে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী দেশের অতিথিদের স্বাগত জানানো এবং আশ্রয় দেওয়ার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও ভারত এই ধরনের প্রত্যর্পণবিষয়ক অনুরোধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং এতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এখন যদি ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়, তবে মিথ্যা মামলার আওতায় তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এটি শেখ হাসিনার জন্য অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
ঢাকা-দিল্লির বর্তমান সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার ভূমিকাকে সামনে রেখে প্রত্যর্পণ ইস্যুটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ বলে বিবেচিত হচ্ছে, জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরটিভি/এসএপি
ভারতীয় ভিসা বন্ধে ভ্রমণ খাতে বিরূপ প্রভাব
বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা বন্ধের জেরে যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে দুই দেশের মধ্যে একেবারে কমেছে পাসপোর্টধারী যাত্রীর চলাচল। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে উভয় দেশের ভ্রমণ খাতে। বাংলাদেশের ক্ষতির পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পে অচলাবস্থা নেমে এসেছে।
সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে ভারতে গেছেন ১৪৭১ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন ১ হাজার ১৯৪ জন, ভারতীয় ২৭৪, জাপানের ২ ও একজন নেপালের পাসপোর্টধারী ছিলেন। এছাড়া খুলনা-কলকাতা রুটে ‘বন্ধন’ রেলে যাত্রীসেবা এখনও বন্ধ থাকায় নিরাপদ যাতায়াতে বেড়েছে ভোগান্তি। তবে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভিসা সীমিত ও দু’দেশের মধ্যে রেলপথে যাত্রী সেবা বন্ধ করে দেয় ভারত।
সূত্রমতে, যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ যান চিকিৎসা ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণে। অন্যদিকে, যেসব ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আসেন, তাদের একটি বড় অংশ আসেন কম খরচে মেডিকেল শিক্ষার জন্য। বর্তমানে দেশের ১০৮টি মেডিকেল কলেজে ১০ হাজারের বেশি বিদেশি অধ্যয়নরত, যাদের বেশিরভাগ ভারতীয়। এছাড়া ট্যুরিস্ট ও ওয়ার্ক ভিসায় দেশে প্রায় ১০ লাখের মতো ভারতীয় চাকরি করছেন।
বাংলাদেশ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলেও নানান অজুহাত দেখিয়ে এখনও স্বাভাবিক ভিসা প্রদান ও রেল পথে বেনাপোল-পেট্রাপোল হয়ে যাত্রী সেবা বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার। এতে একদিকে ভিসা না পেয়ে যাত্রী যাতায়াত যেমন কমে এসেছে, তেমনি স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে দুদেশের মধ্যে ৮ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাতায়াত করলেও এখন তা কমে দেড় হাজারের ঘরে নেমেছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুই দেশেই ক্ষতির শিকার হচ্ছে। কেবল বেনাপোল রুটে ভ্রমণ খাতে ভিসা ফি বাবদ বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আয় করে থাকে ভারতীয় দূতাবাস। তবে এখনও ‘বন্ধন’ রেল পরিষেবা বন্ধ থাকায় এ পথে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল স্থলবন্দর প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ আব্দুল হাফিজ জানিয়েছেন, ভিসা স্বাভাবিক না থাকায় যাত্রী একেবারে কমে এসেছে।
আরটিভি/কেএইচ