তবে কী ‘চেইন মাইগ্রেশনেই’ গ্রিনকার্ড তাদের?
মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের স্লোভেনিয়ান বাবা-মা এখন যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ নাগরিক। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হৈচৈ শুরু হয়েছে।
ভিক্টর ও আমালিজা নাভস গ্রিনকার্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তাদের জামাতা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তাদের বেশ কয়েকবার ওয়াশিংটনে দেখা গেছে। খবর সিএনএনের।
গেলো ফেব্রুয়ারি থেকে তারা যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ড নিয়ে বসবাস করছেন। বলেছেন এই দম্পতির অভিবাসন প্রক্রিয়া দেখভালকারী আইনজীবী মাইকেল ওয়াইল্ডস।
গ্রিনকার্ডধারীরা যুক্তরাষ্ট্রে অনির্ধারিত সময়ের জন্য থাকতে ও কাজ করতে পারে যা শেষপর্যন্ত দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়া ক্ষেত্রেও সহায়তা করে।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে পারি যে তারা গ্রিনকার্ডধারী ও যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা।
তবে এই দম্পতি কীভাবে এই কার্ড পেয়েছেন সেটি খোলাসা করেননি ওয়াইল্ডস। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প যেটিকে ‘চেইন মাইগ্রেশন’ বলে থাকেন সেটির অধীনেই তারা গ্রিনকার্ড পেয়েছেন।
অভিবাসীরা বেশ কয়েকটি উপায়ে গ্রিনকার্ড পেতে পারেন। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশটা হচ্ছে পারিবারিক যোগাযোগের কারণে পেয়ে থাকেন। এটি হচ্ছে এমন এক ব্যবস্থা যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকে বসবাসকারী ব্যক্তির সূত্র ধরে তারই পরিবারের অন্য সদস্যরা দেশটিতে গ্রিনকার্ড পান। ট্রাম্প এটিকে চেইন মাইগ্রেশন হিসেবে বর্ণনা করে থাকেন। তবে চাকরি, শরণার্থী ও অন্যান্য বিশেষ ক্ষেত্রেও গ্রিনকার্ড দেয়া হয়ে থাকে।
এদিকে অভিবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে আন্দোলনকারীরা বলছেন, পরিবারের সংযোগের ভিত্তিতে এই গ্রিনকার্ড দেয়ার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা দরকার। তারা এটিকে ভারসাম্যহীন উল্লেখ করে ‘মেধাভিত্তিক’ অভিবাসনের পক্ষে জনমত চালিয়ে যাচ্ছে।
ওদিকে নাভস দম্পতির অভিবাসন অবস্থা সম্পর্কে ধারণা আছে এমন এক ব্যক্তির বরাতে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে শপথগ্রহণ তারিখের জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে গেলে বৈধ স্থায়ী বাসিন্দাকে দেশটিতে বাস করতে হবে। একইসঙ্গে কমপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য গ্রিনকার্ডধারী হতে হবে।
ভিক্টর (৭৩) ও আমালিজা (৭১) দুজনেই অবসর নিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গে তাদের সখ্যতা ঠিকই বজায় রেখেছেন। তাই ট্রাম্প পরিবারের বিভিন্ন ভ্রমণে তাদের দেখা যায়। এমনকি গেলো নভেম্বরে তাদেরকে হোয়াইট হাউসে দেখা গেছে। এসময় তারা ইভানকা ট্রাম্পের পাশে বসেছিলেন।
এ/পি
মন্তব্য করুন