ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বোরকা নিষিদ্ধ
ক্যাম্পাসে চরমপন্থি মতাদর্শ ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় একটি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বোরকা নিষিদ্ধ করেছে। ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের ইয়োগইয়াকার্তা শহরের দ্য স্টেট ইসলামিক ইউনিভার্সিটি সম্প্রতি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
দ্য স্টেট ইসলামিক ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, তাদের ৪১জন ছাত্রী নিকাব বা বোরকা ব্যবহার করে। তবে তাদের প্রথমে কাউন্সিলিং করা হবে। পরে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করতে হলে বোরকা খুলে ফেলতে হবে এমন শর্তারোপ করা হবে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন ও অধিকারকর্মীরা।
ইসলামিক ডিফেন্ডার্স ফ্রন্ট নামের একটি রক্ষণশীল গ্রুপ এটিকে অনৈসলামিক বর্ণনা করেছে। তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ ধরনের নীতির ‘কোনো অর্থ নেই’ এবং এটি দেশের বৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন
--------------------------------------------------------
এটি নারীর স্বাধীনতার পরিপন্থী উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন একজন নারী অধিকারকর্মীও।
লাথেইফাহ উইদুরি রেটইয়ানিঙটইয়াস নামের ওই অধিকারকর্মী বলেছেন, নিকাব ব্যবহার করা তাদের ইচ্ছার ব্যাপার। আমরা তাদের স্বাধীনতা ও ইচ্ছায় হস্তক্ষেপ করতে পারি না।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের এ সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছে। তারা বলছে, আমরা সহনশীল ইসলামকে এগিয়ে নিচ্ছি। তাই আমাদের এ নীতি ‘শিক্ষার্থী রক্ষায় একটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।’
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে অধিকাংশ মানুষ সহনশীল ইসলাম পালন করে থাকেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে ইসলামের রক্ষণশীল ধারা বেশি মাত্রায় দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
এ/পি
মন্তব্য করুন