ফের ক্ষমতায় মাহাথির মোহাম্মদ
মালয়েশিয়ার জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মাদের জোট পাকাতান হারাপান (পিএইচ)।
গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১টা ১০ মিনিটে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ নেতৃত্বাধীন পাকাতান হারাপানকে জয়ী ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। খবর বিবিসির।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১টা ১০ মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার দাতুক সেরি মোহাম্মদ হাশিম আব্দুল্লাহ সাইদ এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে ২২২ আসনে মধ্যে মাহাথির মোহাম্মদের পাকাতান হারাপান ১১৩ আসনে এবং দেশটির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বারিসান ন্যাশনাল ৭৯ আসনে জয় পেয়েছে।
নির্বাচনে জয়ী হয়ে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, তার জোট আবারও দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে। তবে মাহাথিরের একসময়ের রাজনৈতিক শিষ্য এবং সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক তার নাটকীয় পরাজয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনকারী : রুহানি
--------------------------------------------------------
সরকার গঠনের জন্য মাহাথির মোহাম্মদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির রাজা। এখন নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
মালয়েশিয়ায় এবারের সাধারণ নির্বাচন দেশটির ইতিহাসের ১৪তম। দেশটির রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল রাজনৈতিক জোট বারিসান ন্যাশনাল (বিএন)। ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই জোট মালয়েশিয়া শাসন করেছে। মাহাথির মোহাম্মদও এই জোটের অংশ ছিলেন। ক্ষমতায়ও এসেছিলেন, ছিলেন সবচেয়ে বেশি সময় ধরে। মাহাথির ফের রাজনীতিতে ফিরে নিজের দল ও একসময়ের শিষ্য নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন এবং জয়ও পেলেন।
গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় শেষ হয়। প্রথমদিকে নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।
কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টের ২২২ আসনে এবং ১৩ রাজ্যের ১২টিতে ৫০৫ আসনে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মালয়েশিয়া ভোটার রয়েছে প্রায় দেড় কোটি। এর মধ্যে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর তিন লাখ ভোটার ৫ মে আগাম ভোট দিয়েছেন।
মাহাথিরের এই ঐতিহাসিক জয়ের মাধ্যমে ১৯৫৭ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা বারিসান ন্যাশনালকে এই প্রথম কোনও বিরোধী দল ক্ষমতা থেকে হটালো। অথচ একসময় নিজেই ওই দলের নেতা ছিলেন মাহাথির। নিজের সাবেক দলকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসে এক অভূতপূর্ব কীর্তি স্থাপন করলেন বলে রাজনীতি বিশ্লেষকদের ধারণা। সেইসঙ্গে ৯২ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী হলেন বর্ষীয়ান এই বিশ্বনেতা।
আরও পড়ুন :
কেএইচ/এসএস
মন্তব্য করুন