মিয়ানমার ফিরেছে একটি রোহিঙ্গা পরিবার
বাংলাদেশের কক্সবাজারের একটি আশ্রয় শিবির থেকে পাঁচ সদস্যের একটি রোহিঙ্গা পরিবার মিয়ানমার ফিরেছে। গেল বছর রাখাইন থেকে পালিয়ে আসার পর এটি মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিরল ঘটনা। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এমন খবর ছেপেছে চ্যানেল নিউজ এশিয়া।
বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের সরকারি পত্রিকা গ্লোবাল নিউ লাইট পত্রিকা জানায়, আগের দিন (বুধবার) সকালে ‘বাস্তুচ্যুত’ পাঁচ সদস্যের একটি রোহিঙ্গা পরিবার রাখাইনে ফিরে এসেছে।
মিয়ানমার সরকার এসব ব্যক্তিদের ফিরে আসাকে ঘটা করে ঘোষণা করে। কিন্তু বাংলাদেশ বলছে, এসব ব্যক্তিদের ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশ সরকারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেছেন, তিনি একটি পরিবার চলে যাওয়ার কথা শুনেছেন। তবে মিয়ানমারে তাদের ফেরত যাওয়ার বিষয়টি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেননি।
তিনি বলেন, যে কেউ চাইলে ফেরত যেতে পারেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক প্রত্যাবাসন এখনও শুরু হয়নি।
বাংলাদেশে একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা আব্দুর রহিম বলেছেন, ওই পরিবারটি কক্সবাজার জেলার বালুখালী ক্যাম্পে বসবাস করছিল। তারা গতকাল (বুধবার) রাখাইনে মংদাও টাউনশিপে নিজেদের বাড়িতে ফিরে গেছেন।
মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাস্তুচ্যুত হওয়া শতাধিক রোহিঙ্গা দেশটিতে ফেরত এসেছে। যদিও এই ব্যক্তিরা স্বেচ্ছায় ফিরেছে কিনা সেটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার গ্রুপগুলো।
এদিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি হলেও ব্যাপক পরিমাণে তাদের রাখাইনে ফিরে যাওয়া এখনও নিশ্চিত হয়নি। রাখাইনে বসবাসের পরিবেশ নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘের চুক্তিকারী সংস্থাগুলো বলছে, অনেক এলাকায় এখনও অবিশ্বাস, প্রতিবেশী কমিউনিটির হামলা ভয় এবং নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন জানায়, দেশটির সেনাবাহিনী গণহত্যার উদ্দেশ্যে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ/ এমকে
মন্তব্য করুন