কানাডা অনেক ভুল করেছে: সৌদি থেকে বহিষ্কৃত কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত
সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক ভুল করেছে কানাডা। তাই দুই দেশের সম্পর্ক ইতিবাচক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন রিয়াদে নিযুক্ত কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত ডেনিস হোরাক।
গত বুধবার তিনি এক ফোন সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে সৌদি গণমাধ্যম ‘আল আরাবিয়া’।
হোরাক বলেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি করার কোনও প্রয়োজন ছিল না। সাইডলাইন থেকে কথা বলে ইতিবাচক কোনও ফল পাওয়া যাবে না বলে মনে করি আমি। সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য জাস্টিন ট্রুডো’র উদারপন্থি সরকারের আরও বেশি সময় নেয়া উচিত ছিল।
তিনি বলেন, সৌদি আরবের মতো দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকতে পারা আমাদের ভুল। আমি মনে করি কারাবন্দি অধিকারকর্মীদের তাৎক্ষণিক মুক্তির দাবি ইতোমধ্যে আমাদের মাঝে অনেক দূরত্ব তৈরি করেছে।
কানাডিয়ান শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে হোরাকই প্রথম দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার জন্য অটোয়াকে দায়ী করলেন। সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রিয়াদের সমালোচনা করে এবং দেশটিতে কারাবন্দি অধিকারকর্মীদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানায় কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত আগস্টে কানাডার সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্যের বিষয়ে কঠোর হয় সৌদি আরব। রিয়াদে নিযুক্ত কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার এবং কানাডায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে সৌদি সরকার।
এছাড়া কানাডায় পরিচালিত এডুকেশনাল ও মেডিকেল কর্মসূচিগুলোর সমাপ্তি ঘোষণা করে সৌদি আরব। দেশটি থেকে ১০ হাজার সৌদি শিক্ষার্থী ও রোগীকে অন্যান্য দেশে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনাও গ্রহণ করে রিয়াদ।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক সম্মেলনের এক ইভেন্টে গ্রেপ্তারকৃত সৌদি নাগরিকদের ছেড়ে না দেয়ায় কানাডাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর।
উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, অধিকারকর্মী, ধর্মীয় নেতা ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সৌদি সরকারের ধরপাকড় অভিযানের মধ্যে সবশেষ দুই শীর্ষ নারী অধিকারকর্মী সামার বাদাউই ও নাসিমা আল-সাদাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনটি আরও জানায়, বিভিন্ন অভিযোগে মে থেকে বাদাউইয়ের বোন কারাবন্দী ভিন্নমতাবলম্বী ব্লগার রাফি বাদাউইসহ এক ডজনের বেশি নারী অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি প্রশাসন।
এই ধরপাকড়ের মধ্যে ৩ আগস্ট কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অধিকারকর্মী ও সুশীল সমাজের কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাদের অবিলম্বে মুক্তি চায় কানাডা।
আরও পড়ুন :
কে/এমকে
মন্তব্য করুন