মিয়ানমারের পাঁচ সেনা কর্মকর্তার ওপর অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদাহরণ অনুসরণ করে মিয়ানমারের শক্তিশালী সেনাবাহিনীর পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অস্ট্রেলিয়া। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর সহিংসতার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিলো দেশটি। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওই পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। মঙ্গলবারের ঘোষণায় ওই পাঁচ সেনা কর্মকর্তার সম্পদ জব্দ করারও ঘোষণা দেয়া হয়। এই পাঁচজনের মধ্যে একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেলও রয়েছেন, যিনি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্মমতা চালানো একটি বিশেষ গ্রুপের কমান্ডে ছিলেন বলে মনে করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস পেইন বলেন, ওই সেনা কর্মকর্তারা- অং কিয়াও জ, মং মং সোয়ে, অং অং, থান ও এবং খিন মং সোয়ে- ‘তাদের অধীনে থাকা ইউনিটের মাধ্যমে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য তারা দায়ী’।
এই পাঁচ সেনা কর্মকর্তার অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ধারণা করা হয়, ওই পাঁচ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে কেউ কেউ তাদের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সেখানে রোহিঙ্গা ব্যাপকভাবে হত্যা, গণধর্ষণ, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
গত আগস্ট মাসে জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাখাইনে গণহত্যার উদ্দেশ্যে অভিযান চালিয়েছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এজন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধানসহ আরও পাঁচ কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনারও সুপারিশ জানায় মিশন।
আরও পড়ুন :
এ/পি
মন্তব্য করুন