ধর্মীয় উৎসবে শুধু দুইঘণ্টা আতসবাজি, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
দিওয়ালি, ক্রিসমাস ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আতসবাজি পোড়ানোর সময়সীমা নির্ধারণ করে দিলেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। অনলাইনে আতসবাজি কেনাবেচাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারপতি এ কে সিকরি এবং বিচারপতি অশোক ভূষণ নেতৃত্বে গঠিত একটি বেঞ্চের দেয়া রায়ে এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।
রায়ে বলা হয়, দিওয়ালির আগে শুধু রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং ক্রিসমাস ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে রাত ১১.৪৫ থেকে ১২.৪৫ পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে। বাজি পোড়ানোর অনুমতি দেয়া হলেও শুধু কম দূষণ ছড়ানো বাজিই কেনাবেচা করা যাবে।
সারাদেশের ১৩০ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য এবং বাজি প্রস্তুতকারকদের জীবন-জীবিকার সামঞ্জস্য রেখেই রায় দেয়া হবে বলে এর আগে জানান সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে বাজি পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট বায়ুদূষণের মাত্রা কমাতে কী করা যেতে পারে, তা নিয়েও কেন্দ্রের মতামতও জানতে চাওয়া হয়। বাজি প্রস্তুতকারক, বাজি নিষিদ্ধ করার পক্ষে আবেদনকারী এবং দেশের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের সঙ্গেও কথা বলা হয়।
উল্লেখ, বাজি নিষিদ্ধের দাবিতে করা আবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণের মাত্রা ২.৫ ইউনিটের বেশি হলে তা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ এতে বিভিন্ন ক্ষতিকর কণা বা পার্টিকল সরাসরি ফুসফুসে চলে যায়।
অন্যদিকে বাজি প্রস্তুতকারকদের দাবি ছিল, বাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ না করে নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভাবা হোক। বাজি ছাড়াও বাতাসের গতিবেগ এবং তাপমাত্রাও বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। তাই সবকিছুর জন্য শুধু বাজিকে দায়ী করা ঠিক নয়।
বাজি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হলে সারাদেশে অসংখ্য বাজি প্রস্তুতকারকদের জীবন ও জীবিকা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলেও উল্লেখ করেন জানান তারা।
আরও পড়ুন :
কে/এমকে
মন্তব্য করুন