শিশুর দাঁতের যত্নে করণীয়
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা নেই বলে যে একটা কথা আছে, এটা সবার ক্ষেত্রেই খাটে। তবে নবজাতক শিশুর ক্ষেত্রে আরো বেশি খাটে। আপনার ছোট্ট সোনামনির দাঁত ও মাড়ির যত্নে অবহেলার কারণে দেখা দিতে পারে অনেক অনেক সমস্যা। তাই শিশুর দাঁত ওঠার আগে ও পরে চাই যত্ন আর নিবিড় পরিচর্যা। চলুন জেনে নিই শিশুর দাঁতের যত্নে কী করণীয়?
২. দাঁত ওঠার আগে থেকেই নবজাতক শিশুর মুখ ও মাড়ি পরিষ্কার রাখা উচিত।
১. শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো শেষ হলে পরিষ্কার, জীবাণুমুক্ত ও পাতলা সুতি কাপড় অথবা তুলা দিয়ে মাড়ির ওপর থেকে দুধের আবরণ পরিষ্কার করে দিন।
৩. দাঁত ওঠার শুরুতেই আপনার শিশুর হাতে কোমল ও নরম একটা ব্রাশ তুলে দিন। অবশ্যই তার জন্য বেবি জেল বা পেস্ট ব্যবহার করবেন। কারণ তা গিলে ফেললেও সমস্যা নেই। আর বড় হওয়ার সাথে সাথে তাকে সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করা শেখান।
৪. শিশুর দুধদাঁতগুলো সাধারণত সাত থেকে এগারো বছর বয়স পর্যন্ত ধীরে ধীরে পড়ে গিয়ে আবার নতুন করে স্থায়ীভাবে জন্মায়। শিশুদের পরবর্তী স্থায়ী দাঁতগুলোতে যেন কোন সমস্যা না হয় সেজন্য তার দুধদাঁত গুলোর যত্ন নেয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
৫. সুস্থ্য দাঁতের বিকাশের জন্য শিশুদের ফিডার না খাওয়ানোই উচিত। নইলে দুধদাঁতে ক্যারিজ বা ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
৬. শিশুকে নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা সেখান এবং তা খাবার গ্রহণের পর।
৭. শিশু ঠিকমতো দাঁত ব্রাশ করছে কি না তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
৮. শিশুকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় ব্রাশ কিনে দিন যাতে তার দাঁত ব্রাশ করার আগ্রহ বাড়ে।
৯. অবশ্যই দুই বা তিন মাসের বেশি এক ব্রাশ ব্যবহার করতে দিবেন না।
১০. প্রতিদিন মাউথ ওয়াশ ও ফ্লসিং করা ছেলেবেলা থেকেই শেখাবেন।
১১. শিশুর মুখে দুর্গন্ধ হলে বা দাঁতে কালো দাগ দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কেএইচ/পি
মন্তব্য করুন