বিয়ের আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষা কেন জরুরি
বিয়ে করার আগে গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার সবাই ভুলেই যান। আর বাংলাদেশে তো এই চলটি একদমই নেই। সেটা হচ্ছে পাত্রপাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা। বিয়ে পরবর্তী নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা এড়ানোর জন্য বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই। গোপনে হলেও অন্তত পাত্রপাত্রীর নিজেদের উদ্যোগে এ পরীক্ষাগুলো করিয়ে নেয়া উচিত।
রক্ত পরীক্ষা
স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপের ভিন্নতার কারণে স্বাস্থ্যগত জটিলতা তৈরি হতে পারে। নেগেটিভ রক্তবহনকারী নারীর সঙ্গে পজিটিভ রক্তবহনকারী পুরুষের বিয়ে হলে তাদের সন্তান জন্মদানের সময় জটিলতা তৈরি হতে পারে।
হেপাটাইটিস
বিয়ের আগে টেস্ট করে জেনে নেয়া উচিত হেপাটাইটিস এ, বি, সি আছে কিনা। হেপাটাইটিস এ সেরে গেলেও কোনো পাত্রী যদি হেপাটাইটিস বি বা সিতে আক্রান্ত হন তাহলে তার থেকে তা সংক্রমিত হয়ে স্বামী ও সন্তানের শরীরে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিয়ের আগেই দুজনের হেপাটাইটিস ‘এ’ ও ‘বি’ ভ্যাকসিন নিয়ে রাখা ভালো।
বন্ধ্যত্ব পরীক্ষা
গাইনোকোলজিস্টের কাছে গিয়ে পাত্রীর একবার পরীক্ষা করে দেখে নেয়া উচিত ইউটেরাস, ওভারিতে কোনো সমস্যা আছে কিনা। সেইসঙ্গে পাত্রের পুরুষত্ব, বীর্যপাতজনিত সমস্যা বা পুরুষাঙ্গে কোনো সমস্যা আছে কিনা তা আগেই টেস্ট করে জেনে নেয়া উচিত।
থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা
থ্যালাসেমিয়া জাতীয় হিমোগ্লোবিনোপ্যাথি টেস্ট করে জেনে নেয়া উচিত যে, তিনি থ্যালাসেমিয়ার বাহক কিনা। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বাহক হলে অনাগত শিশু এই রোগে আক্রান্ত হবে।
কিডনি
কিডনির কোনো সমস্যা আছে কিনা তা জানতে ইউরিন টেস্ট করে দেখা উচিত। ইউরিনে ইউরিয়া বেশি থাকলে সেখান থেকে নিজেদের বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
থাইরয়েড ও এনিমিয়া টেস্ট
থাইরয়েডে সমস্যা থাকলে পরবর্তী সময়ে সন্তান জন্ম দেয়ার সময় ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এছাড়া রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত পাত্রীরও বিয়ের পর সন্তান নিতে গেলে অনেক সময়ই সমস্যায় পড়তে হয়।
এইচআইভি ও অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ
বিয়ের আগেই বর-বধূর এইচআইভি অথবা যৌনবাহিত রোগ যেমন- সিফিলিস, গনোরিয়া, যৌনাঙ্গের ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশন আছে কিনা সেগুলো পরীক্ষা করা খুবই জরুরি। এর মধ্যে এইচআইভি ছাড়া অন্যান্য রোগগুলো যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব।
আরও পড়ুন:
কেএইচ/সি
মন্তব্য করুন