আপনি যেভাবে দাঁত ব্রাশ করেন তা কি সঠিক?
সাধারণত দাঁত ব্রাশ করা দিয়েই আমাদের দিন শুরু ও শেষ হয়। অনেকেই ভাবেন দাঁত ব্রাশ করা তো কত সহজ। কিন্তু সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ না করলে লেগে থাকবে দাঁত ও মুখের নানা সমস্যা। চলুন তাহলে জেনে নিই দাঁত ব্রাশ করার সময় কী কী ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
১. ভালো মানের টুথব্রাশ ব্যবহার করুন যার শলাকাগুলো বেশি শক্ত বা বেশি নরম হবে না। ছোটদের জন্য ছোট আকারের ব্রাশ দরকার যা ওদের মুখে খুব সহজে আঁটে।
২. রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এবং সকালে নাস্তার পরে পরিমাণ মতো পেস্ট নিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। সম্ভব হলে ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। শিশুদের জন্য কম ঝাঁজাল টুথপেস্ট বেছে নিন।
৩. ব্রাশের শলাকাগুলো দাঁতের সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি কোনাকুনিভাবে ধরে ওপর পাটির দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচের পাটির দাঁত নিচ থেকে ওপরে ব্রাশ করুন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : বিয়ের আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষা কেন জরুরি
--------------------------------------------------------
৪. দাঁতের ভেতরে ও বাইরের অংশে একই সময় নিয়ে ব্রাশ করুন। কমপক্ষে দুই মিনিট সময় নিয়ে ব্রাশ করুন।
৫. তিন মাস পরপর টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন। দীর্ঘদিন ব্যবহারে ব্রাশের শলাকাগুলো বাঁকা হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করতে হবে।
৬. দিনে কমপক্ষে দুইবার ব্রাশ করতে হবে। তবে চকলেট কিংবা মিষ্টি জাতীয় আঠালো খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
৭. দীর্ঘ সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করার প্রয়োজন নেই। বেশি জোরে ও দ্রুত ব্রাশ করা থেকেও বিরত থাকুন। ব্রাশের আঘাতে মুখগহ্বরের ভেতরের ঝিল্লির পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে।
৮. সামনে-পেছনে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের গোঁড়া ক্ষয়ে যেতে পারে। তাই ওপর-নিচে ব্রাশ করুন।
৯. টক জাতীয় খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন।
আরও পড়ুন:
কেএইচ/সি
মন্তব্য করুন