ডিম খান, ডাক্তারের ওপর চাপ কমান
অনেকেই চর্বি জমে যাওয়ার ভয়ে ডিম খেতে চান না। কিন্তু ডাক্তাররা কিন্তু বলছেন ভিন্ন কথা। আজ আমরা জানবো ডিমের হরেকরকম গুনাগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে।
১. ডিমে থাকা ভিটামিন বি ১২ আপনার পেটে থাকা খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।
২. ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। ডিমের ক্যারোটিনয়েড, ল্যুটেন ও জিয়েক্সেনথিন বয়সকালের চোখের অসুখ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। একই উপাদান চোখের ছানি কমাতেও সাহায্য করে।
৩. ডিমে রয়েছে ভিটামিন-ডি যা আপনার পেশীর ব্যথা কমায়।
৪. ডিমের ভিটামিন-ই স্কিন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৫. ডিমের সবচেয়ে বড় গুণ এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ব্রেকফাস্টে রোজ একটি ডিম মানে সারাদিন আপনার ক্ষুধা কম হবে, খাওয়া হবে কম।
৬. ডিমে আছে আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস। মেয়েদের পিরিয়ডের জন্য অনেক সময় রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। শরীর তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ডিমের মধ্যে থাকা আয়রন এই ঘাটতি মেটাতে পারে সহজেই। জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আর ফসফরাস হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
৭. ২০০৩ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় একটি সমীক্ষায় দেখিয়েছে শৈশব থেকে সপ্তাহে ৬টি করে ডিম নিয়মিত খেলে নারীদের স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমে ৪৪ শতাংশ।
৮. ডিম হৃৎপিণ্ডে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কম থাকে।
৯. শরীর সুস্থ রাখার আরও একটি জরুরি উপাদান কোলাইন। কোলাইনের ঘাটতি ঘটলে অনেক সময় কার্ডিওভাসকুলার, লিভারের অসুখ বা স্নায়ুবৈকল্য দেখা দিতে পারে। একটি ডিমে প্রায় ৩০০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন থাকে; যা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম, স্নায়ু, যকৃত ও মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১০. ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায় না। দিনে দুটি ডিম খেলে রক্তে লোহিতকণিকা তৈরি করে।
১১. ঝটপট নখ ভাঙার অভ্যাস থাকলে চোখ বন্ধ করে রোজ ডিম খেয়ে যান। ডিমের মধ্যে থাকা সালফার ম্যাজিকের মতো নখ আর চুলের মান উন্নত করবে।
আরও পড়ুন:
কেএইচ/পি
মন্তব্য করুন